Coronavirus

কো-মর্বিডিটি তত্ত্ব কেন্দ্রেরও, বিরোধীদের কটাক্ষ তৃণমূলের

রাজ্য সরকারের বক্তব্য ছিল, করোনায় আক্রান্ত হলেও রাজ্যে মৃত রোগীদের অনেকেই অন্য রোগে অসুস্থ ছিলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ মে ২০২০ ০৩:২০
Share:

ছবি পিটিআই।

দেশে ৭০% করোনা আক্রান্তের মৃত্যুতে কেন্দ্রীয় সরকার কো-মর্বিডিটি তত্ত্বকে মান্যতা দেওয়ায় বিষয়টিকে তাদের রাজনৈতিক জয় হিসেবে দেখছে তৃণমূল। তাদের মতে, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগে এই তত্ত্বের কথায় বলেছিলেন। তখন বিরোধীরা এ নিয়ে প্রশ্ন তুলে তথ্য গোপনের অভিযোগ করেছিল। এখন কেন্দ্রীয় সরকার তাতে ‘সিলমোহর’ দেওয়ায় রাজ্যের পথ সঠিক ছিল বলেই দাবি করছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। তৃণমূলের দাবি, রাজ্য সরকারকে রাজনৈতিক ভাবে কোণঠাসা করতে এ নিয়ে প্রশ্ন তোলা হলেও এখন তার বাস্তবতা মেনে নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।

Advertisement

রাজ্য সরকারের বক্তব্য ছিল, করোনায় আক্রান্ত হলেও রাজ্যে মৃত রোগীদের অনেকেই অন্য রোগে অসুস্থ ছিলেন। সেই কারণেই তাঁদের মৃত্যুর কারণ হিসেবে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর সরাসরি করোনার কথা উল্লেখ করতে চায়নি। এ বার কেন্দ্রের হিসেবে এই তত্ত্ব স্বীকৃতি পাওয়ায় রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক কুৎসা প্রচারের অভিযোগ তুলল তৃণমূল। দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বুধবার বলেন, ‘‘এই বিপদে বিরোধীরা শুধু দলের কথা ভেবেছে। রাজ্যবাসীর কথা ভাবেনি। সরকারকে কালিমালিপ্ত করতে গিয়ে নিজেদের কুমতলবই সামনে নিয়ে এসেছে।’’

কো-মর্বিডিটি তত্ত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তথ্য গোপনের অভিয়োগ তুলেছিল বিরোধীরা। এ নিয়ে মামলাও হয়েছিল। তবে কেন্দ্রীয় সরকারও এই পথ নেওয়ায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এ দিন বলেন, ‘‘কেন্দ্র কো-মর্বিডিটি ব্যাখ্যা করেছে মাত্র। তাতে তাদের সংখ্যায় হেরফের হয়নি।’’ তাঁর মতে, ‘‘অন্য অসুখে কারও মৃত্যু ত্বরান্বিত হয়ে থাকতে পারে। কিন্তু করোনা সংক্রমণের কথা স্বীকার করছিলই না।’’ তবে কেন্দ্র বা বিজেপি শাসিত রাজ্য কেন এই তত্ত্ব মেনে নিয়েছে, তার কোনও জবাব দিতে পারেননি তিনি।

Advertisement

আরও পড়ুন: হাজার ছাড়াল বঙ্গের সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা, মৃত ৭২

অন্য দিকে, কংগ্রেস ও সিপিএম এই তত্ত্ব খারিজ করে জানিয়েছে, এর ফলে ‘হু’র নির্দেশিকা লঙ্ঘিত হচ্ছে। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র বলেন, ‘‘এত দিন রাজ্যের এই ব্যাখ্যা নিয়ে প্রশ্ন তুলে এখন কেন্দ্রীয় সরকারও একই পথ নিচ্ছে। এর পরে কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্য সম্পর্কে প্রশ্ন তোলার বিশ্বাসযোগ্যতা হারাচ্ছে।’’ বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘‘দিদির কাছ দাদা শিখেছেন। রাজ্যে করোনায় মৃতের সংখ্যা কম করে দেখানোর চেষ্টা চলছিল। এখন দিল্লি চাইছে, দেশ কত ভাল অবস্থায় তা দেখাতে। আসলে বিপদে পড়ছেন মানুষ। গত সপ্তাহ থেকে কিন্তু কো-মর্বিডিটির কারণে রাজ্যে মৃত্যু বাড়েনি।’’

আরও পড়ুন: বাঙালি বিজ্ঞানীদের তৈরি ৫০০ টাকার কিট, দ্রুত করোনা পরীক্ষায় সক্ষম

এ দিকে, করোনার মোকাবিলা নিয়ে তৃণমূলের জেলা সভাপতিদের সঙ্গে ভিডিয়ো-কনফারেন্স করতে পারেন তৃণমূলনেত্রী। আগামী শুক্রবার এই কনফারেন্স হওয়ার কথা রয়েছে। জেলা সভাপতি ছাড়াও একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নেতা এবং সাংগঠনিক পদাধিকারীদের সঙ্গেও কথা বলতে পারেন তৃণমূলনেত্রী।

(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement