কলকাতার বিভিন্ন কন্টেনমেন্ট জোন পরিদর্শন করেন পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা। নিজস্ব চিত্র।
লকডাউনের দ্বিতীয় দিনেও কড়া নজরদারি রয়েছে কন্টেনমেন্ট জোনগুলিতে। ব্যরিকেড দিয়ে এলাকা ঘিরে রাখা হয়েছে। সেখানে যাতে কেউ ঢুকতে বা বেরতে না পারেন, তার জন্যে ২৪ ঘণ্টাই পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। কারও কিছু প্রয়োজন পড়লে পুলিশকর্মীরাই ব্যবস্থা করে দিচ্ছেন। কড়া বিধি-নিষেধের পাশাপাশি চলছে সচেতনতার প্রচারও। মাস্ক ছাড়া কাউকে রাস্তায় দেখলেই বাড়ি ফেরত পাঠাচ্ছে পুলিশ। কোনও কোনও কন্টেনমেন্ট জোন লাগোয়া এলাকায় দোকান-বাজারও বন্ধ। কলকাতার বিভিন্ন কন্টেনমেন্ট জোন পরিদর্শন করেন পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা। তিনি পুলিশকর্মীদের এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশও দেন।
কলকাতা থেকে হাওড়া সহ জেলাগুলিতে পুলিশের এমন তৎপরতা দেখে অনেকেই বলছেন, এ বার লকডাউনের রাশ আলগা করতে চাইছে না প্রশাসন। তবে অসচেতনতার ছবিও যে ধরা পড়ছে না, তা নয়। কন্টেনমেন্ট জোনের বাইরে থাকা বহু এলাকায় অনেকেই মাস্ক ছাড়া ঘুরছেন। দূরত্ব বিধি শিকেয়। ফলে ওই সব এলাকা নতুন করে কন্টেনমেন্ট জোনের আওতায় ঢুকে যেতে পারে বলে মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ।
গতকাল, বৃহস্পতিবার বিকেল ৫ টা থেকে কন্টেনমেন্ট জোনে লকডাউন শুরু হয়েছে। শুধু থানার পুলিশ কর্মীরাই নয়, পথে নেমেছিলেন শীর্ষ কর্তারাও। এ দিনও কলকাতায় সকাল থেকে কড়া নজরদারির ছবি ধরা পড়েছে। শহরের ২৫টি কন্টেনমেন্ট জোনে ঘুরে দেখছেন তাঁরা। থানাগুলির তরফে গাড়ি করে সর্বক্ষণ মাইকে প্রচার করা হয়েছে।
হাওড়ার কনটেনমেন্ট জোনে পুলিশি প্রহরা: নিজস্ব চিত্র
আরও পড়ুন- ঠিক আধ ঘণ্টা আগে কেন আটকানো হল মিডিয়ার গাড়ি? দুবে ‘সংঘর্ষে’ রহস্য এখানেও
বৃহস্পতিবার রাজ্যে দৈনিক করোনা আক্রান্তের রেকর্ড গড়েছে রাজ্য। আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে এক হাজার। কলকাতার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন চিকিৎসক মহল। একাংশ কড়া লকডাউনের পক্ষেই। তবে কন্টেনমেন্ট জোনের সংখ্যা আরও বাড়ানো উচিত ছিল বলে তাঁরা মনে করছেন।
মাস্ক ছাড়া কাউকে রাস্তায় দেখলেই বাড়ি ফেরত পাঠাচ্ছে পুলিশ। ছবি: পিটিআই
এ দিন কলকাতার উল্টোডাঙা, মুকুন্দপুর,অজয়নগর, কসবা, প্রগতি পল্লি, গিরিশ পার্ক, বিজয়গড়, দত্ত বাগান, কাঁকুড়গাছি সহ বিভিন্ন এলাকায় কড়া নজরজারি চলেছে। হাওড়ায় চিত্রটা অনেকটা একই রকম— পুরসভা এলাকার পাশাপাশি শহরতলির বিভিন্ন এলাকাতেই কড়া নজরদারি চলছে। শ্যামপুর, পাঁচলা, উলুবেড়িয়া পুরসভা, আমতা, উদয়নারায়ণপুরের বিভিন্ন এলাকার কন্টেনমেন্ট জোনগুলি কড়া লকডাউনের আওতায় রয়েছে। একই ভাবে উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনাতেও পুলিশি নজরদারি চলছে।