মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করলেন রেলমন্ত্রী পীযূষ গয়াল। —ফাইল চিত্র
ফের রাজনীতি শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন ঘিরে। পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরানোর লক্ষ্যে চালানো ওই ট্রেন পশ্চিমবঙ্গে ঢোকার অনুমতি দিচ্ছে না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসন, এই অভিযোগে আজ ফের সরব হলেন রেলমন্ত্রী পীযূষ গয়াল।
আজ বিজেপি মুখপাত্র সম্বিত পাত্রের সঙ্গে অনলাইন আলাপচারিতায় রেলমন্ত্রী পরিযায়ী শ্রমিক ফেরানোর প্রশ্নে শুধু পশ্চিমবঙ্গই নয়, ঝাড়খণ্ড ও রাজস্থান সরকারেরও সমালোচনা করেন। সঙ্গে বিজেপিশাসিত উত্তরপ্রদেশ ও গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রীর ভূয়সী প্রশংসা।
গোড়া থেকেই শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন ঘিরে বিরোধী রাজ্যগুলি ও রেল মন্ত্রকের মধ্যে চাপানউতোর চলছে। আজ বিজেপি মুখপাত্র সম্বিত পাত্রের সঙ্গে আলাপচারিতায় সেই রাজনীতি টেনে আনেন পীযূষ। তাঁর আক্রমণের মূল নিশানা ছিল পশ্চিমবঙ্গ। পীযূষের দাবি, গোটা দেশে অন্তত ৪০ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিক বিভিন্ন রাজ্য থেকে পশ্চিমবঙ্গে ফিরতে চেয়ে বসে রয়েছেন। কিন্তু রাজ্য এখনও পর্যন্ত কেবল ২৭টি ট্রেনকে প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে। ১৫ মে থেকে ১৫ জুনের মধ্যে আরও ১০৪টি ট্রেন পশ্চিমবঙ্গে শ্রমিকদের পৌঁছে দেবে।
একই সুরে পীযূষ জানান, ঝাড়খণ্ডে ৯৬টি ও রাজস্থানে কেবল ৩৫টি ট্রেন চলেছে। তুলনায় গুজরাতে ৬৩৬টি ট্রেন চলেছে। বিজেপি বিরোধী রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের উদ্দেশে পীযূষ বলেন, ‘‘পরিযায়ী শ্রমিকদের তাদের ঘরে ফিরতে দেওয়া হোক। রেল যথাসম্ভব সাহায্য করবে।’’ পীযূষের সমালোচনা দেখে তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার বলেন, ‘‘রেলমন্ত্রীর কথা শুনে মনে হচ্ছে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রীরাই একমাত্র শ্রমিকদের জন্য চিন্তিত। শুরু থেকেই শ্রমিকদের নিয়ে রাজনীতি করছে কেন্দ্র। আর পশ্চিমবঙ্গে আগামী বছর নির্বাচন। সে কারণেই এখন সবেতেই কেন্দ্রের নিশানায় রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ।’’
আজ রেলমন্ত্রী জানিয়েছেন, শ্রমিক স্পেশাল, এসি ট্রেন ও দূরপাল্লার ২০০টি ট্রেনের পরে আরও ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে রেলের। তবে ধাপে ধাপে। স্টেশনগুলিতে দোকান খোলার পাশাপাশি টিকিট কাটার জন্য আগামিকাল থেকে রিজার্ভেশন কাউন্টারও খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল। এ ছাড়া গোটা দেশে টিকিট কাটার জন্য যে ১.৭ লক্ষ কমন সার্ভিস সেন্টার রয়েছে, তা-ও কাল থেকে খোলা হবে বলে জানিয়েছেন পীযূষ।