খোলা রয়েছে বৈদ্যুতিন সামগ্রীর দোকান। নিজস্ব চিত্র
করোনার বিপদ এখনও সরেনি। কিন্তু জেলা ‘লাল’ থেকে ‘কমলা’ হতে পারে— তা জেনেই তমলুকের বিভিন্ন এলাকায় দোকানপাট খোলা শুরু হয়েছে বলে অভিযোগ।
করোনা সংক্রমণে কেন্দ্রীয় সরকার পূর্ব মেদিনীপুরকে ‘হটস্পট’ ঘোষণা করেছে। জেলা রয়েছে ‘রেড জোনে’ও। নবান্ন সূত্রের খবর, আগামী দু’সপ্তাহে জেলায় নতুন করে কেউ করোনায় আক্রান্ত না হলে পূর্ব মেদিনীপুর রেড থেকে ‘অরেঞ্জ জোনে’ চলে যাবে। সরকারিভাবে ওই ইঙ্গিত পাওয়ার পরেই শনিবার থেকে জেলার বিভিন্ন এলাকায় লকডাউন উপেক্ষা করে জামাকাপড়, বৈদ্যুতিন সামগ্রী-সহ অন্য পণের দোকান খোলা হচ্ছে। নিয়ম ভেঙে ওই সব দোকানপাট খোলায় বাজারে ভিড়ও হয়েছে এ দিন। ফলে আগামী কয়েক দিনে করোনার সংক্রমণ কমার বদলে বাড়ার আশঙ্কা করছেন বহু বাসিন্দা।
নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী ছাড়া লকডাউনে বন্ধ থাকবে অন্য সব দোকান। কিন্তু এ দিন পূর্ব এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের সীমানায় থাকা ময়নার বলাইপন্ডা বাজারে, নন্দকুমার বাজারে কাপড় দোকান, খঞ্চি বাজারে মোবাইল ও বৈদ্যুতিন সামগ্রীর দোকান খোলা থাকতে দেখা গিয়েছে। এছাড়া, স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, বলাইপন্ডা বাজারে চণ্ডীয়া সেতুর উল্টো দিকে রয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া পূর্ব মেদিনীপুরে তাঁদের প্রবেশ বন্ধ করতে পুলিশের ‘নাকা চেকিং’ চলছিল। কিন্তু গত দু’তিন দিন ধরেই পুলিশের সেই তল্লাশিতে ভাটা পড়েছে। এর ফলে অবাধে দুই জেলার বাসিন্দাদের যাতায়াত চলছে বলে অভিযোগ।
এর মধ্যে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা ‘অরেঞ্জ জোনে’ আসার আগাম আভাস পেয়ে বলাইপন্ডা বাজারে বন্ধ থাকা দোকানের একাংশ খোলা শুরু হয়েছে। এমন অভিযোগের কথা কার্যত স্বীকার করে ময়না পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি সুব্রত মালাকার বলেন, ‘‘বলাইপন্ডা বাজারে লকডাউন উপেক্ষা করে বিভিন্ন দোকান খোলার বিষয়টি আমার নজরে এসেছে। দোকান খোলার প্রবণতা বন্ধ করতে প্রশাসনের আলোচনা হয়েছে। চণ্ডীয়া সেতুতে পুলিশের নাকা চেকিং যাতে কড়া ভাবে করা হয় সেজন্য বলা হবে।’’ একই ছবি নন্দকুমারের খঞ্চি বাজার এলাকায়। এই বাজারে লকডাউনের ভেঙে একাংশ মোবাইল ফোনের দোকান ও বৈদ্যুতিন সামগ্রীর দোকান খোলার অভিযোগ উঠেছে। নিয়ম ভাঙার ব্যাপারে পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘জেলায় অনেক বাজার রয়েছে। লকডাউনের নিয়ম ভেঙে বাজারে দোকান খোলার বিষয়ে নির্দিষ্ট অভিযোগ এলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’