Coronavirus

লকডাউনে দুশ্চিন্তায় ভিন্ রাজ্যের শ্রমিকেরা

জেলা প্রশাসনের তথ্য বলছে, লকডাউনের আগে ভিন্ রাজ্য থেকে প্রায় ১০-১২ হাজার মানুষ ঘাটাল মহকুমায় ফিরেছিলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৩ মে ২০২০ ০২:৪১
Share:

প্রতীকী ছবি

অপেক্ষা দীর্ঘ হচ্ছে।

Advertisement

আরও দু’সপ্তাহ আরও বেড়ে গিয়েছে লকডাউন। তাই ভিন্ রাজ্যে কর্মরত শ্রমিকদের বাড়ি ফেরার সম্ভবনা আপাতত প্রায় নেই। অনেক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকও লকডাউনে ভিন্ রাজ্য থেকে কাউকে না ফেরানোর পরামর্শ দিচ্ছেন। তাঁরা মনে করিয়ে দিচ্ছেন, ভিন্ রাজ্য ফেরত দাসপুরের এক যুবক ও তাঁর পরিজনের করোনা আক্রান্ত হওয়ার কথা।

জেলা প্রশাসনের তথ্য বলছে, লকডাউনের আগে ভিন্ রাজ্য থেকে প্রায় ১০-১২ হাজার মানুষ ঘাটাল মহকুমায় ফিরেছিলেন। এখনও এই মহকুমার প্রায় ৩০ হাজার বাসিন্দা দিল্লি, মহারাষ্ট্র, গুজরাত-সহ দেশের নানা প্রান্তে আটকে আছেন। বেসরকারি মতে সংখ্যাটা আরও বেশি।

Advertisement

যাঁরা আটকে রয়েছেন তাঁদের বেশিরভাগই স্বর্ণশিল্পী। কেউ কেউ কাঠ, জরি-সহ অন্য শিল্পের সঙ্গেও যুক্ত। অনেকেরই কাজ চলে গিয়েছে। জমানো টাকাও শেষের পথে। এই পরিস্থিতিতে বাঙালি স্বর্ণকার সংগঠনগুলি অনেক জায়গায় তাঁদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করেছে। তবে অপেক্ষাকৃত ছোট শহর কিংবা মফসসলে সব সময় সেই সাহায্যও মিলছে না। দিল্লির স্বর্ণশিল্পী সংগঠনের সদস্য কার্তিক ভৌমিক বলেন, “যাঁরা বড় শহরে আছেন, তাঁদের কোনও ভাবে চলে যাচ্ছে। তবে অনেকের জমানো টাকা ফুরিয়ে গিয়েছে। বিভিন্ন সংগঠন সাহায্য করছে বটে কিন্তু সেটা সব জায়গায় নয়।” দিল্লিরই আরেকটি স্বর্ণশিল্পী সংগঠনের সদস্য দীপক ভৌমিক জানান, স্থানীয় থানা থেকে বাড়ি ফিরতে ইচ্ছুক শ্রমিকদের তালিকা চাওয়া হয়েছিল। সেটা দেওয়া হয়েছে। তবে কবে ফেরানো হবে, তা পরিষ্কার ভাবে জানানো হয়নি। মুম্বইয়ের একটি স্বর্ণশিল্পী সংগঠনের সদস্য অমলেন্দু মাইতি বলেন, “আমাদের এখানে খাবার পাওয়া গেলেও অন্য অনেক সমস্যা আছে।’’

কী ভাবছে স্থানীয় প্রশাসন? দাসপুর-২ পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি আশিস হুতাইত এবং দাসপুর-১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সুনীল ভৌমিক বলেন, “ভিন্ রাজ্যে থাকা স্বর্ণশিল্পী ও শ্রমিকদের অনেকে যোগাযোগ করছেন। বিষয়টি প্রশাসনের নজরে রয়েছে।” তবে জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক জানান, এটা ঠিক যে স্বর্ণশিল্পী-সহ অনেকেই ভিন্ রাজ্যে সমস্যায় রয়েছেন। তবে তাঁদের বাড়ি ফেরানো নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। লকডাউনের ঠিক আগে যাঁরা বাড়ি ফিরেছিলেন তাঁদের অনেকেই স্বাস্থ্যবিধি মানেননি। এলাকায় ঘুরেছেন। তার ফলও ভুগতে হয়েছে। সেই কথাও মাথায় রাখতে হচ্ছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement