গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
রাজ্যের কন্টেনমেন্ট জোনে লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হল ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। তবে শহরতলির ট্রেন এবং মেট্রো চলাচল চালু করতে চাইলে রাজ্যের কোনও আপত্তি নেই বলেও বুধবার জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আজ তিনি জানান, রাজ্যের কোভিড পরিস্থিতি বিবেচনা করে স্কুল কলেজ আগামী ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বন্ধ রাখা হবে। সপ্তাহে এখন যে ভাবে এক দিন বা দু’দিন সার্বিক লকডাউন পালন করা হচ্ছে তা-ও চলবে। আগামী ৭, ১১ এবং ১২ সেপ্টেম্বর রাজ্যে সম্পূর্ণ লকডাউনের কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। ২০ সেপ্টেম্বরের পর ফের বৈঠক করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
নবান্নে এ দিন বিকেলে সাংবাদিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘বিধি মেনে, সামাজিক দূরত্ব মেনে যদি কলকাতা এবং সংলগ্ন এলাকায় মেট্রো এবং শহরতলির ট্রেন চালানো হয়, তবে রাজ্যের কোনও আপত্তি নেই। তবে একসঙ্গে সব নয়। ধাপে ধাপে চালাতে হবে।’’
তিনি এ দিন ছ’টি শহর থেকে বিমান চলাচলে নিষেধা়জ্ঞা শিথিল করার কথাও বলেন। দিল্লি মুম্বই, পুণে, সুরত-সহ ৬টি শহর থেকে রাজ্যে বিমান চলাচল নিষিদ্ধ ছিল এত দিন। সেই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে সপ্তাহে তিন দিন বিমান চলাচলে অনুমতি দেওয়া হবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: ‘রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে ঢাল বানানোর চেষ্টা হচ্ছে’, লকডাউন নিয়ে কেন্দ্রকে ভর্ৎসনা সুপ্রিম কোর্টের
১ থেকে ৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নিট এবং জেইই পরীক্ষার তীব্র বিরোধী যে মমতা, এ দিন সে কথাও জানান মমতা। তাঁর কথায়, ‘‘ফের কেন্দ্রীয় সরকারকে অনুরোধ করা হয়েছে। কোভিড সংক্রমণ রুখতে এখনই ওই পরীক্ষার প্রয়োজন নেই। জীবন দিয়ে তো পরীক্ষা নয়। বিভিন্ন রাজ্য থেকে পরীক্ষার্থীরা আসবেন। সংক্রমণের আশঙ্কা রয়েছে।”
আরও পড়ুন: ‘আমার কোনও আফসোস নেই’, আকাঙ্ক্ষা খুনে যাবজ্জীবনের সাজা শুনে নির্লিপ্ত উদয়ন
এ দিনের ক্যাবিনেট বৈঠকে রাজ্যে কর্মসংস্থানের জন্য বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী। তার মধ্যে রয়েছে তাজপুর বন্দর প্রকল্প। এ দিন মমতা জানিয়েছেন, রাজ্য সরকারই তাজপুর সমুদ্র বন্দর তৈরি করবে। এর আগে কেন্দ্রের সঙ্গে যৌথ ভাবে এই প্রকল্প হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, কেন্দ্র অর্থ বরাদ্দ করেনি। তাই রাজ্যই এই প্রকল্প তৈরি করবে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘এই বন্দর তৈরি হলে বাণিজ্য থেকে শুরু অনেক ক্ষেত্রেই কর্মসংস্থান তৈরি হবে।” একই সঙ্গে কেবল ল্যান্ডিং স্টেশন এবং ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট ব্রডব্যান্ড পলিসিও তৈরি করা হচ্ছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। কেবল ল্যান্ডিং স্টেশনে ইতিমধ্যেই জিয়ো ১ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।