লকডাউন মানতে বলায় র্যাফকে তাড়া। ভিডিয়ো থেকে নেওয়া ছবি
হাওড়ার টিকিয়াপাড়ায় লকডাউন কার্যকর করতে গিয়ে আক্রান্ত হল পুলিশবাহিনী। মঙ্গলবার দুপুরে এক দল যুবক পুলিশকর্মীদের ঘিরে ধরে হেনস্থা করতে থাকে। এই ঘটনার জেরে কয়েক জন পুলিশকর্মী আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নামাতে হয় র্যাফ। তার পরে ফের অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে টিকিয়াপাড়ার বেলিলিয়াস রোড এলাকা। উত্তেজিত যুবকেরা আশপাশের দোকান এবং পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছুড়তে থাকে। এলাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন পুলিশের পদস্থ অফিসারেরা। পুলিশি নিগ্রহের এই ঘটনায় জেলা প্রশাসনের শীর্ষস্তর থেকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
তার পরই এ দিন রাতে টুইট করে রাজ্য পুলিশের তরফে জানানো হয়, টিকিয়াপাড়ার ঘটনায় যাঁরা জড়িত তাঁদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। হামলাকারীদের চিহ্নিত করে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করা হবে। এ ধরনের কর্মকাণ্ড কোনও ভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। টিকিয়াপাড়ার এই গণ্ডগোলের জেরে এ দিন রাতেই সরিয়ে দেওয়া হয় হাওড়ার মিউনিসিপ্যাল কমিশনারকে।
পুলিশের অভিযোগ, এ দিন ওই এলাকায় লকডাউনের নিষেধাজ্ঞা উড়িয়ে বহু মানুষ রাস্তায় ঘুরছিলেন। অনেকে মোটরবাইকেও ইতস্তত ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন। এই সময় পুলিশের একটি দল টহল দেওয়ার সময় সেখানে এসে পৌঁছয়। জনতাকে বাড়ি চলে যেতে বলে পুলিশ। এই সময়েই উত্তেজনা ছড়াতে শুরু করে। আচমকাই কিছু লোক পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছুড়তে ছুড়তে এগোতে শুরু করে। বেশ কয়েক জন পুলিশকে রাস্তায় ফেলে মারতে থাকে। দোকানে হামলাও চালানো হয় বলে অভিযোগ। র্যাফ নামানো হলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমশিম খেতে হয়। এমনকি র্যাফের লোকজনকেও মারধর করা হয়। কী কারণে এই ঘটনা ঘটল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
রাজ্যের বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এ দিন বলেন, “অত্যন্ত নিন্দনীয় ঘটনা। পুলিশ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছে। করোনা মোকাবিলায় প্রশাসন সাহায্য করছে। এক জন নাগরিক এবং প্রশাসনের কর্মী হিসাবে মনে করি, কড়া হাতে পরিস্থিতি মোকাবিলা করা উচিত। তেমনই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’’ বিজেপি নেতা রাহুল সিংহ বলেন, “কারা এই ধরনের ঘটনা ঘটাল, তা দ্রুত চিহ্নিত করতে হবে। পুলিশকে কাজ করতে দেওয়া হবে না, এটা হতে পারে না।”
টিকিয়াপাড়ার সেই ভিডিয়ো: