—ফাইল চিত্র।
সরকারি এবং বেসরকারি বাসে ৮ জুন থেকে সব আসনে যাত্রী নেওয়ার কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সেই ব্যবস্থা শুরু হলে বিপদ বাড়বে বলে মনে করছেন অনেকেই। কারণ, বাসে একাধিক যাত্রী পাশাপাশি বসলে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কা থাকছে।
যদিও রেল এবং বিমানের সব আসনে যাত্রী নেওয়া আগেই শুরু হয়েছে। তাই ঝুঁকির কথা আঁচ করে ৬৫ বছরের বেশি ও ১০ বছরের কম বয়সিদের ট্রেন সফর থেকে দূরে থাকতে বলা হয়েছে। বাসের ক্ষেত্রে অবশ্য তেমন সরকারি নির্দেশিকার কথা এখনও জানানো হয়নি।
নবান্ন সূত্রের খবর, সরকারি বাসগুলি খালি যাওয়ায় আর্থিক ক্ষতি হচ্ছিল। দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে যাত্রীদের ভোগান্তিও বাড়ছিল। সেটা কমাতে এই সিদ্ধান্ত। এই সিদ্ধান্তে সরকারি-বেসরকারি বাসের আর্থিক ক্ষতির বোঝা কিছুটা কমবে বলে মনে করছেন বাসমালিকেরাও। তাই সংক্রমণ ঠেকিয়ে বাস চালানোর পরিকল্পনা ঠিক করতে প্রায় সব ক’টি বাসমালিক সংগঠন আজ, রবিবার বৈঠকে বসছে। সেখানে ভাড়া পুনর্বিন্যাস, কর সংক্রান্ত সমস্যা মেটাতে সরকারি সাহায্য চাওয়া ছাড়াও সংক্রমণ রুখতে আরও কী ব্যবস্থা নেওয়া যায় তা-ও আলোচনা হবে।
করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে ইতিমধ্যেই একাধিক পদক্ষেপ নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করেছে বাসমালিক সংগঠনগুলি। মিনিবাস অপারেটর্স কোঅর্ডিনেশন কমিটির যুগ্ম সম্পাদক স্বপন ঘোষ বলেন, “যাত্রীদের মাস্ক এবং গ্লাভস ব্যবহার করার কথা সরকারের তরফে বলা হয়েছে। আমরা চাইব যাত্রীরা যেন নিজেরাই স্যানিটাইজা়র সঙ্গে রাখেন। বাসে উঠেই তাঁরা হাত জীবাণুমুক্ত করেন। সুরক্ষার জন্য হাত ঢাকা পোশাক পরার আবেদনও করব।”
জয়েন্ট কাউন্সিল অব বাস সিন্ডিকেটস-এর সাধারণ সম্পাদক তপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, সংক্রমণ ঠেকাতে তাঁরা ভাড়া আদায়ের জন্য বহনযোগ্য ছোট যন্ত্রের ব্যবহার নিয়েও আলোচনা করছেন। যাত্রীদের সঙ্গে স্যানিটাইজা়র রাখার পরামর্শ দিয়েছেন তপনবাবুও।
ওয়েস্ট বেঙ্গল বাস মিনিবাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন-এর যুগ্ম সম্পাদক প্রদীপনারায়ণ বসু বলেন, “সুষ্ঠু পরিষেবার স্বার্থে সরকারের কাছে কিছু দাবি জানাব। বাসের জন্য সরকারি নির্দেশিকা পেলে ভাল।” হাত ঢাকা পোশাক পরা এবং স্যানিটাইজা়র সঙ্গে রাখার আবেদন তাঁরাও যাত্রীদের কাছে রাখবেন বলে জানান।
পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর মতে, “এ ক্ষেত্রে সকলকেই নির্দিষ্ট স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে।”