গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
ক্রমশ কমছে রাজ্যে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সুস্থ হওয়ার সংখ্যাটাও। মঙ্গলবার এ রাজ্যে করোনাকে হারিয়ে মোট সুস্থের সংখ্যাটা ৪ লাখ ছাড়িয়ে গিয়েছে। লক্ষ্যণীয় ভাবে বে়ড়েছে সুস্থতার হারও। তবে সংক্রমণের হার কিছুটা চিন্তায় রাখছে স্বাস্থ্য দফতরকে।
সপ্তাহ তিনেক ধরে রাজ্যে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যার চেয়ে রোজ যত জন সুস্থ হচ্ছেন তার সংখ্যা বেশি। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর প্রকাশিত মঙ্গলবারের বুলেটিন অনুযায়ী, রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪ লক্ষ ৩৮ হাজার ২১৭ জন। এর মধ্যে এখনও পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৪ লক্ষ ৩ হাজার ৩৪০ জন। এ দিনই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ৪ হাজার ৩৮৮ জন। রাজ্যে সুস্থতার হার এ দিন পৌঁছে গিয়েছে ৯২.০৪ শতাংশে।
দৈনিক নতুন সংক্রমিতের সংখ্যার লেখচিত্র এ দিনও ফের নীচের দিকেই। মঙ্গলবার করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৬৫৪ জন। রাজ্যে গত কালকের থেকে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা কমেছে ৭৮৬ জন। এ দিন পর্যন্ত সক্রিয় রোগী ২৭ হাজার ১১১ জন।
(গ্রাফে হোভার টাচ করলে দিনের পরিসংখ্যান দেখা যাবে)
আরও পড়ুন: অধীর-মান্নানের সঙ্গে ত্বহা সাক্ষাৎ এড়িয়ে গেলেন, বাড়ছে জল্পনা
আরও পড়ুন: ‘এই দল আর আমার নয়’, জল্পনা বাড়ালেন তৃণমূল বিধায়ক মিহির
রাজ্যে এখনও পর্যন্ত করোনায় মারা গিয়েছেন ৭ হাজার ৭৬৬ জন। এ দিন প্রাণ হারিয়েছেন ৫২ জন। এর মধ্যে কলকাতায় ১৩ এবং উত্তর ২৪ পরগনায় ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৫ জন এবং হাওড়ায় ৪ জন মারা গিয়েছেন।
দৈনিক করোনা সংক্রমণের জেলাভিত্তিক ছবিটা খানিকটা বদলালেও কলকাতা এবং উত্তর ২৪ পরগনার পরিস্থিতির বদল হয়নি। এ দিন কলকাতায় আক্রান্ত ৭৫২ জন এবং উত্তর ২৪ পরগনায় নতুন করে সংক্রমিত ৭১০। দুশোর বেশি নতুন সংক্রমণ রয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা (২৩২), নদিয়া (২২২) এবং হুগলি (২১৮)-তে। এ ছাড়া শতাধিক ব্যক্তি করোনা সংক্রমিত হয়েছেন হাও়ড়া (১৮৫), দার্জিলিং (১৬৭), জলপাইগুড়ি (১৩৫), পশ্চিম বর্ধমান (১২৬), পশ্চিম মেদিনীপুর (১১৯) এবং পূর্ব মেদিনীপুর (১০৬)-এ।
প্রতি দিন যত সংখ্যক কোভিড পরীক্ষা করা হয়, তার মধ্যে প্রতি ১০০ জনে যত জনের রিপোর্ট পজিটিভ আসে, তাকে ‘পজিটিভিটি রেট’ বা সংক্রমণের হার বলা হয়। গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৪ হাজার ২৩৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে যা গত কালকের থেকে অনেকটাই বেশি। তার পরেও নতুন সংক্রমিতের সংখ্যা দৈনিক সুস্থের থেকে কিছুটা নীচে থাকায় আশার আলো দেখছেন অনেকেই। তবে এ দিন সংক্রমণের হার সামান্য বেড়ে হয়েছে ৮.২৬ শতাংশ।