ফাইল চিত্র।
রাজ্যের প্রতিটি হাসপাতালে প্রতিদিনই করোনা রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। তাই চিকিৎসার মান উন্নয়ন এবং প্রতিটি রোগীকে আলাদা করে গুরুত্ব দিয়ে যাতে পর্যবেক্ষণ করা হয় তার জন্য নির্দেশিকা জারি করল স্বাস্থ্য দফতর।
সূত্রের খবর, প্রতিটি কোভিড ওয়ার্ডকে ছোট ছোট জ়োনে ভাগ করতে বলা হয়েছে। প্রতিটি জ়োনে সর্বোচ্চ ৩০টি করে শয্যা থাকবে। ওই সমস্ত জ়োনের দেখভালের দায়িত্বে থাকবে এক বা দুই জন প্রবীণ চিকিৎসকের নেতৃত্বের একটি ইউনিট। এছাড়াও ২৪ ঘণ্টা যাতে পরিষেবা দেওয়া যায় তার জন্য অন্যান্য চিকিৎসকদেরও ওই ইউনিটে যুক্ত করতে বলা হয়েছে। একসঙ্গে নার্সদেরও একটি দলকে ওই ইউনিটে সংযুক্ত করতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি ‘ওয়ার্ড রাউন্ড চেক লিস্ট’ ব্যবহারেও জোর দেওয়া হয়েছে। যাতে ‘কোভিড পেশেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’-এ প্রতিটি রোগীর তথ্য ঠিক মতো আপলোড করতে কোনও সমস্যা না হয়। এ সবের সঙ্গেই প্রতিটি ইউনিটকে প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময়ে রোগীর পরিজনদের সঙ্গে সাক্ষাৎ অথবা ভার্চুয়াল মাধ্যমে যোগাযোগ রাখতেও বলা হয়েছে। যাতে পরিজনেরাও তাঁর রোগীর চিকিৎসা সম্পর্কিত সমস্ত বিষয় সম্পর্কে অবহিত থাকেন।
২৪ ঘণ্টা শুধু সঙ্কটজনক রোগীদের চিকিৎসায় নজরদারি রাখতে প্রতিটি কোভিড হাসপাতালে কুইক রেসপন্স টিম গঠনের কথাও ওই নির্দেশিকাতে জানানো হয়েছে। ওই দলে থাকবেন বিশেষজ্ঞ মেডিক্যাল অফিসার, জেনারেল ডিউটি মেডিক্যাল অফিসার, নার্স, সিসিইউ-টেকনোলজিস্ট ও অন্য কর্মী। গোটা বিষয়টি তদারকি করবেন সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল-সুপার।
আরও একটি নির্দেশিকাতে, রাজ্যের সমস্ত মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপাল ও জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে একজন নোডাল অফিসার নিয়োগের জন্য। কোভিড ব্যবস্থাপনাতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত প্রয়োগ বা বাস্তবায়িত করতে সহযোগিতা করবেন ওই অফিসার। তিনি কোভিড প্রোটোকল মনিটরিং টিমের সঙ্গেও যোগাযোগ রেখে চলবেন। যাতে কোভিড ব্যবস্থাপনাতে খামতি না থাকে। প্রতিটি হাসপাতালে করোনা রোগীর চিকিৎসা ব্যবস্থাপনাতে কী খামতি থাকছে কিংবা কী উন্নতি বা পদক্ষেপের প্রয়োজন আছে তার জন্য রিভিউ কমিটি গঠন করতেও বলা হয়েছে। ওই কমিটি সপ্তাহে অন্তত ২ দিন করে বৈঠকে বসে সমস্ত বিষয় পর্যালোচনা করবে।