রাজ্যে প্রতিদিন লাফিয় লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। ফাইল চিত্র।
করোনা চিকিৎসার ব্যবস্থাপনায় কোনও খামতি রাখতে চায় না বলে রাজ্য সরকার প্রথম থেকেই জানিয়ে আসছে। ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট, সরকারি কোভিড হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যবস্থায় নজরদারি চালাতে এ বার নজরদার ও তত্ত্বাবধায়ক দল তৈরি করল স্বাস্থ্য দফতর। করোনায় মৃত্যুর পিছনে কোভিড চিকিৎসা ব্যবস্থাপনায় কোনও খামতি ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখার জন্যও আলাদা একটি পর্যবেক্ষক দল গড়া হয়েছে।
বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকদের নিয়ে গড়া হয়েছে ওই সব দল। মঙ্গলবার স্বাস্থ্য ভবনের নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে সংশ্লিষ্ট দলের নোডাল অফিসার হয়েছেন স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিনের বিভূতি সাহা। এমআর বাঙুর ও বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালের নোডাল অফিসার এসএসকেএমের মেডিসিন বিভাগের প্রধান সৌমিত্র ঘোষ। কামারহাটি সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও খড়দহ বলরাম হাসপাতালের নোডাল অফিসার হলেন আরজি কর মেডিক্যালের মেডিসিন বিভাগের প্রধান জ্যোতির্ময় কর। ওই তিন দলে অন্য ডাক্তারেরাও থাকবেন। আরজি করের চিকিৎসক সুগত দাশগুপ্তের নেতৃত্বে পাঁচ চিকিৎসককে সরকারি কোভিড হাসপাতালের সিসিইউয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। করোনায় মৃত্যু সংক্রান্ত বিষয়ে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আরও পাঁচ চিকিৎসককে।
কলকাতা পুরসভার প্রতিটি স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে প্রতিষেধক দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ দিন বিভিন্ন বণিকসভার সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যসচিব। কলকাতা ও জেলায় বড় আবাসনের কর্তৃপক্ষ যদি নিজেদের উদ্যোগে প্রতিষেধক দেওয়ার ছাড়পত্র চান, তাতেও আপত্তি করবে না রাজ্য।
সংক্রমণ রুখতে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ, আরজি কর-সহ কয়েকটি মেডিক্যাল কলেজে প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়াদের অফলাইন পঠনপাঠন স্থগিত রাখা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে অনলাইন ক্লাসের কথা জানানো হয়েছে। আরজি করে নার্সিং ও প্যারামেডিক্যাল পড়ুয়াদের এবং বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যালে প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের হস্টেল খালি করতে বলা হয়েছে। শিশুদের করোনা চিকিৎসা ব্যবস্থাপনার নির্দিষ্ট প্রোটোকল বা বিধি তৈরির জন্য স্বাস্থ্যসচিবের আবেদন জানিয়েছে চিকিৎসকদের মঞ্চ 'প্রোটেক্ট দ্য ওয়ারিয়র'। জেলা প্রশাসন চাইলে মাইক্রো কনটেনমেন্ট জ়োন করতে পারে বলে প্রশাসন সূত্রের খবর। কিন্তু জেলা প্রশাসনিক সূত্রের খবর, এই বিষয়ে সবিস্তার নির্দেশিকা মেলেনি।