Coronavirus in West Bengal

করোনা শয্যা বাড়ছে জেলায় জেলায়

অবস্থা সামাল দিতে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে কোভিড শয্যা বাড়ানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনার সব কোভিড শয্যা প্রায় ভর্তি।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০২১ ০৬:১৬
Share:

ফাইল চিত্র।

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে রাজ্য জুড়ে দৈনিক সংক্রমণের হার ঊর্ধ্বমুখী। জেলায় জেলায় বাড়ছে সংক্রমিতের সংখ্যা। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে কোভিড শয্যার চাহিদা। পরিস্থিতি দেখে বাড়তি করোনা শয্যার ব্যবস্থা হচ্ছে জেলায় জেলায়। ফের সেফ হোমও খুলতে শুরু করেছে।কোভিড শয্যা সঙ্কটের মুখে মালদহ, দার্জিলিং এবং উত্তর দিনাজপুর। মালদহ মেডিক্যালে ১৫০টি কোভিড শয্যার মধ্যে ১৪০টিতেই রোগী রয়েছেন। ১০০ শয্যার সেফ হোম খুলেছে। দার্জিলিং জেলায় সরকারি হাসপাতালে কিছু শয্যা এখনও ফাঁকা রয়েছে। তবে নার্সিংহোম সব ভর্তি। উত্তর দিনাজপুরে সরকারি ব্যবস্থাপনায় কোভিড শয্যার সংখ্যা ২৭০। তার মধ্যে শুক্রবার ফাঁকা রয়েছে মাত্র ৩৬টি।

Advertisement

অবস্থা সামাল দিতে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে কোভিড শয্যা বাড়ানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনার সব কোভিড শয্যা প্রায় ভর্তি। শুক্রবার বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে ৫০ শয্যার কোভিড ইউনিট চালু হয়েছে। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক তাপস রায় বলেন, ‘‘সাগর দত্ত হাসপাতাল বাদে জেলায় মোট কোভিড শয্যা ৬০০। এক সপ্তাহের মধ্যে সংখ্যাটা বাড়িয়ে ১০২৫ করা হচ্ছে।’’

দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ডহারবার মেডিক্যালে ৮০ শয্যার কোভিড হাসপাতালে এই মুহূর্তে ৭০ জন রোগী রয়েছেন। ১৪টি ভেন্টিলেটরের সবকটিই ভর্তি। আরও ৮০টি কোভিড শয্যা এবং ২০টি ভেন্টিলেটর বাড়ানোর প্রস্তুতি চলছে। ডায়মন্ড হারবার স্টেডিয়ামে ১০০ শয্যার সেফ হোম খোলা হয়েছে। হুগলিতে গত দু’দিনে কিছু কোভিড শয্যা বাড়ানো হয়েছে। এ দিনই আরামবাগ হাসাপাতালে ১০০ শয্যার কোভিড ওয়ার্ড চালু হয়েছে। হাওড়া জেলায় কোভিড শয্যা প্রায় দ্বিগুণ করা হয়েছে।

Advertisement

নদিয়ায় বৃহস্পতিবার সকাল সাতটা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৭০০ জন সংক্রমিত হয়েছেন। অথচ জেলায় একটাই কোভিড হাসপাতাল। শয্যা বাড়িয়ে ৩০০ করেও হিমশিম খেতে হচ্ছে। তাই ১০০ শয্যা বাড়ানোর কথা ভাবা হচ্ছে কল্যাণী যক্ষ্মা হাসপাতালে, যা করোনা হাসপাতাল হিসাবে কাজ করছে। কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালেও ১০০টি করোনা শয্যা করার পরিকল্পনা চলছে। পুরুলিয়া ও বাঁকুড়ায় এখনও শয্যার আকাল নেই। তবে আগাম ব্যবস্থা হিসেবে পুরুলিয়ার রঘুনাথপুর সুপার স্পেশালিটিতে ৫০টি শয্যা গড়া হচ্ছে। জেলার ১৬টি নার্সিংহোমকেও অন্তত ১০টি করে শয্যা তৈরি রাখতে বলেছে স্বাস্থ্য দফতর। পশ্চিম মেদিনীপুরের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিমাইচন্দ্র মণ্ডলও বলেন, “করোনা মোকাবিলায় জেলার সব নার্সিংহোমকে প্রস্তুত থাকতে আবেদন করা হয়েছে।” মুর্শিদাবাদে এখনই বেসরকারি হাসপাতালে সব কোভিড শয্যা ভর্তি।

অস্থায়ী বন্দোবস্তও হচ্ছে। পশ্চিম বর্ধমানের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অশ্বিনীকুমার মাজি জানান, দুর্গাপুরে ইতিমধ্যে একটি সেফ হোম চালু হয়েছে। আসানসোলে আরও একটি চালুর প্রস্তুতি চলছে। শুক্রবার বীরভূমের মুরারইয়ে রাজগ্রামের সরকারি মডেল স্কুলে ৩০ শয্যার এবং নলহাটির সিএডিসি ভবনে ৪০ শয্যার সেফ হোম চালু হয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং স্টেডিয়ামে অস্থায়ী কোভিড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৩৫ জন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement