প্রতীকী ছবি।
কোভিড রোগীকে ভর্তি না নেওয়ার ঘটনায় ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করলেন সল্টলেকে আমরি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাই কোর্টের নির্দেশ মেনে শুক্রবার ক্ষতিপূরণের প্রথম অংশের ১ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে ওই কোভিড রোগীকে।
কোভিডের প্রথম ঢেউয়ের সময় হুগলির এক ৬৭ বছরের প্রবীণ কোভিড-১৯ রোগীকে ভর্তি না করে ফিরিয়ে দেওয়া এবং দুর্ব্যবহার করার অভিযোগ ওঠে আমরি কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। স্থানীয় মানবাধিকার কর্মী রঞ্জিত শূর বলেন, ‘‘স্বাস্থ্য কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছিলাম। স্বাস্থ্য কমিশন তদন্ত করে জানায়, বেড খালি থাকা সত্বেও টাই-আপে ভর্তি করতে হবে শুনে রোগীকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। রাস্তায় দাঁড় করিয়ে রেখে কথা বলেছিল আমাদের সঙ্গে। খারাপ ব্যবহার করেছিল।’’ পরে হুগলির শ্রমজীবী হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল ওই রোগীকে।
স্বাস্থ্য কমিশন ৩ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে বলেছিল আমরিকে। এক লক্ষ শ্রমজীবী হাসপাতালকে, দুই লক্ষ রোগীকে। স্বাস্থ্য কমিশনের আদেশের বিরুদ্ধে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা করেন আমরি কর্তৃপক্ষ। রঞ্জিত জানান, হাই কোর্ট অর্ন্তবর্তী আদেশে প্রাথমিক ভাবে তাঁদের বক্তব্যই সঠিক বলে মেনে নেয়। অর্ন্তবর্তী আদেশে, ক্ষতিপূরণের এক লক্ষ টাকা দ্রুত রোগীকে দিতে বলে। বাকি ২ লক্ষ টাকা হাইকোর্টের রেজেস্ট্রিতে জমা দিতে বলে।
আবেদনকারী পক্ষের আইনজীবী রঘুনাথ চক্রবর্তী জানিয়েছেন, অন্তর্বর্তী নির্দেশে বলা হয় চূড়ান্ত রায় ঘোষণার পর জমা রাখা ২ লক্ষ টাকা সম্পর্কে সিদ্ধান্ত হবে। মামলায় আমরি জিতলে পুরো ৩ লক্ষ টাকাই তাদের ফেরত দিতে হবে বলে জানায় হাই কোর্ট। সেই নির্দেশ মেনে শুক্রবার ওই রোগীকে ১ লক্ষ টাকা দিয়েছেন আমরি কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে আমরি কর্তৃপক্ষের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।