ছবি রয়টার্স।
সংক্রমণ সূচকের নিরিখে প্রতিদিনই রেকর্ড তৈরি হচ্ছে বঙ্গে! রবিবারেও এক দিনে নতুন করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা চারশোর ঘরে। এই নিয়ে ২৪ ঘণ্টায় চারশো সংক্রমণের হ্যাটট্রিক তো হলই, আগের দু’দিনের তুলনায় রেকর্ড আক্রান্তের দিন হিসেবে চিহ্নিত হল ৭ জুন। এ দিনই প্রথম রাজ্যের সব জেলার নামের পাশে লাল কালির দাগ পড়ল। ২৪ ঘণ্টায় সারা বাংলায় সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে ১৩ জনের।
২ জুন রাজ্যে ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩৯৬। পরবর্তী দু’দিন সংক্রমিতের সংখ্যা কিছু কমলেও শুক্রবার বুলেটিনে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা দেখানো হয় ৪২৭। শনিবার তা ছিল ৪৩৫। এ দিন সেই সব পরিসংখ্যানকে অতীত করে বুলেটিনে জানানো হয়েছে, নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা ৪৪৯। যা এ-পর্যন্ত রাজ্যে একদিনে আক্রান্তের নিরিখে সর্বাধিক। এই নিয়ে বঙ্গে মোট করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ৮১৮৭। গত ২৬ মে বাংলায় মোট করোনা-আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৪০০৯। সে-দিক থেকে মাত্র ১২ দিনের ব্যবধানে এ রাজ্যে দ্বিগুণ হল সংক্রমিতের সংখ্যা।
এ দিনের বুলেটিনে আরও কিছু উল্লেখযোগ্য তথ্য রয়েছে। এর আগে ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যের সব জেলায় আক্রান্তের হদিস মেলেনি। এ দিনের বুলেটিনে রাজ্যের ২৩টি জেলার নামের পাশেই লাল কালিতে করোনা পজ়িটিভের সংখ্যা লেখা রয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুর (৮৪) সেই তালিকায় এ দিন শীর্ষে রয়েছে। নতুন করে আক্রান্তের মাপকাঠিতে কলকাতা (৭৪) দ্বিতীয় স্থানে থাকলেও গত ২৪ ঘণ্টায় যে-তেরো জনের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের মধ্যে সাত জনই মহানগরীর বাসিন্দা। এই প্রেক্ষিতে কলকাতায় করোনা পজ়িটিভ মৃতের সংখ্যা হল ২০২। এ দিনের পরে সারা রাজ্যে সরাসরি করোনার কারণে মৃতের সংখ্যা ৩২৪। কো-মর্বিডিটির কারণে ৭২ জনের মৃত্যু ধরে রাজ্যে করোনা পজ়িটিভ মোট মৃতের সংখ্যা ৩৯৬।
আরও পড়ুন: করোনা জয় ক্যানসার আক্রান্ত আট বছরের মেয়ের
উত্তরবঙ্গে এক দিনে ১৪২ জনের করোনা ধরা পড়েছে। রবিবার বিভিন্ন জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, কোচবিহারে ৫৪ জনের সংক্রমণের রিপোর্ট এসেছে। পুর এলাকা এবং অন্যান্য ব্লক মিলিয়ে জলপাইগুড়িতে নতুন করে মোট ৩৮ জন ওই ভাইরাসে আক্রান্ত। আলিপুরদুয়ারে সংক্রমিত ১৮ জন। দার্জিলিং জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা ১৩, কালিম্পঙে সাত। মালদহে ১০, উত্তর দিনাজপুরে দু’জন সংক্রমিত।
আরও পড়ুন: ১০০ শতাংশ হাজিরার পুর নির্দেশ, ক্ষোভ