গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
আরও কমল নতুন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে সংক্রমণের হার নেমে গিয়েছে ১ শতাংশের নীচে। যা যথেষ্ট স্বস্তিদায়ক বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
গত ২৭ জানুয়ারি এক লাফে দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যাটা ২৫০ থেকে নেমে গিয়েছিল ২৩৪-এ। গত ২৪ ঘণ্টায় সেই সংখ্যাটা আরও নেমেছে। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের রবিবারের প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ২২৯ জন। ফলে এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৫ লক্ষ ৫৯ হাজার ৯৯৮।
সংক্রমণের হার যেমন কমছে, বাড়ছে সুস্থতার হারও। রবিবার সুস্থতার হার দাঁড়িয়েছে ৯৭.২৪ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৩৩৮ জন। ফলে এ দিন পর্যন্ত সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৫ লক্ষ ৫৪ হাজার ২৭২ জন।
প্রতি দিন যত সংখ্যক মানুষের কোভিড টেস্ট হয় এবং তার মধ্যে যত শতাংশের রিপোর্ট পজিটিভ আসে, তাকে ‘পজিটিভিটি রেট’ বা সংক্রমণের হার বলা হয়। গত ২৪ ঘণ্টায় ২৫ হাজার ৪৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। তাতে সংক্রমণের হার দাঁড়িয়েছে ০.৯১ শতাংশ। এ নিয়ে মোট ৭৯ লক্ষ ৯৫ হাজার ৮৫৪ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।
দৈনিক সংক্রমণ, সুস্থতার দিক থেকে যেমন একটা ইতিবাচক ইঙ্গিত মিলছে, তেমনই মৃত্যুর সংখ্যাটাও উদ্বেগজনক পরিস্থিতি থেকে অনেকটাই সরে এসেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের। এ নিয়ে রাজ্যে করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ১০ হাজার ১৭৩।
দৈনিক এবং মোট সংক্রমণের নিরিখে শীর্ষ স্থানে রয়েছে কলকাতা। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৬১ জন। তার পরেই রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। এই জেলায় নতুন আক্রান্তের সংখ্যা ৫৮। তার পরেই রয়েছে দার্জিলিং, নদিয়া। এই দুই জেলায় ১২ জন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন। তার পরে রয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান। এই তিনটি জেলায় ১১ জন করে সংক্রমিত হয়েছেন।
রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় যে ৯ জন মারা গিয়েছেন তার মধ্যে কলকাতায়, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, উত্তর দিনাজপুর এবং হুগলির এক জন, উত্তর ২৪ পরগনার ৩ জন, হাওড়ার ২ জন রয়েছেন।