মাস্ক না পরায় পুলিশের সামনে ওঠবোস। —নিজস্ব চিত্র।
সরকার ও চিকিৎসকদের তরফে বার বার সতর্ক করা সত্ত্বেও করোনা নিয়ে এখনও হেলদোল নেই একটা বড় অংশের মানুষের। মাস্ক না পরে শুধু বাড়ির বাইরে পা রাখাই নয়, বাজার-দোকানেও চলে যাচ্ছেন অনেকে। এমন পরিস্থিতিতে করোনাবিধি নিয়ে হাত শক্ত করে এ বার নেমে পড়ল পুলিশ। মাস্ক না পরায় মঙ্গলবার সকালে ধূপগুড়ি বাজারে বহু মানুষকে ধরে ধরে ওঠবোস করাল তারা। চলল ব্যাপক ধরপাকড়ও। এমনকি গাঁটের কড়ি খরচ করে লোকজনের হাতে মাস্কও তুলে দিতে দেখা গেল পুলিশ আধিকারিকদের।
গত এক মাসে রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণ এবং মৃত্যু উল্লেখযোগ্য ভাবে বেড়েছে। পাহাড়েও তার প্রভাব পড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ২০০-র বেশি মানুষ সংক্রমিত হয়েছেন সেখানে। মৃত্যু হয়েছে ২ জন করোনা রোগীর। তার পরেও সামাজিক দূরত্ব বিধি বজায় রাখা এবং মাস্ক না পরা নিয়ে যথেষ্ট সচেতনতা তৈরি হয়নি। তাতে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে ধূপগুড়ি সুপারমার্কেট এলাকা নিয়ে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। আশেপাশের রাজ্য থেকেও বহু পাইকারি ব্যবসায়ী সেখানে আসেন। বিধি নিষেধের তোয়াক্কা না করে সাধারণ মানুষও ভিড় জমাচ্ছেন সেখানে।
মঙ্গলবার হাট বসে সেখানে। তাই আগে থেকে সতর্ক ছিল পুলিশ। সকালে ভিড় জমা শুরু হতেই বাজারে হানা দেয় পুলিশের একটি দল। মাস্ক না পরে আসা বেশ কয়েক জনকে আটক করা হয়। পথচলতি মানুষকে দাঁড় করিয়ে মাস্ক পরার প্রয়োজনীয়তাও বোঝান পুলিশ আধিকারিকরা।
ধূপগুড়িতে ইতিমধ্যেই করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে। ধূপগুড়ি পৌরসভায় করোনা আক্রান্ত হয়ে এক জনের মৃত্যু হয়েছে। এক ব্যবসায়ীও সম্প্রতি কোভিডে প্রাণ হারিয়েছেন। জোগানের অভাবে মাঝে ধূপগুড়ি হাসপাতালে টিকাকরণ সাময়িক বন্ধ রাখা হয়েছিল। মঙ্গলবার থেকে ফের তা শুরু হয়েছে।