Coronavirus

চাই বিয়ার-বিড়ি, দাবি গণ্ডিবদ্ধ এলাকা থেকে

এমন সব দাবি শুনে অবাক পূর্ব বর্ধমানের মেমারি থানার পুলিশকর্মীরা।

Advertisement

সৌমেন দত্ত

মেমারি শেষ আপডেট: ১০ মে ২০২০ ০৫:১৭
Share:

প্রতীকী ছবি।

করোনা-আক্রান্তের হদিস মেলায় গণ্ডিবদ্ধ হয়েছে পাড়া। অত্যাবশ্যক জিনিসপত্র যা দরকার হবে, তা জানাতে বাসিন্দাদের কয়েকটি নম্বর দিয়েছে পুলিশ। সেখানে ফোন করে কেউ বিয়ার ও মাংস পৌঁছনোর দাবি জানাচ্ছেন, কেউ ১৫ মিনিটের মধ্যে আনাজ পাঠাতে বলছেন। এমন সব দাবি শুনে অবাক পূর্ব বর্ধমানের মেমারি থানার পুলিশকর্মীরা।

Advertisement

মেমারির ৭ নম্বর ওয়ার্ডে এক যুবকের করোনা-রিপোর্ট পজ়িটিভ আসে শুক্রবার। তার পরেই পাড়ার প্রায় ৭৫টি পরিবারকে পুলিশ জানায়, আনাজপাতি বা
ওষুধ যা দরকার হবে, ফোনে জানালে নির্দিষ্ট জায়গায় পৌঁছে দেওয়া হবে।

পুলিশ সূত্রের দাবি, শনিবার সকালে এক প্রবীণ বাসিন্দা সংবাদপত্র পৌঁছতে বলেন। পুলিশকর্মীরা একটি সংবাদপত্র নিয়ে গেলে তিনি জানান, সেটি তাঁর পছন্দ নয়। নির্দিষ্ট একটি সংবাদপত্র চাই তাঁর। পুলিশ জানায়, ‘পছন্দসই’ সেই সংবাদপত্র এ দিন আর বাজারে মেলেনি। এরই মধ্যে এক জন দু’বোতল বিয়ার ও মুরগির মাংসের দাবি জানান। এক মহিলা সব রকম আনাজ, পোলট্রি ও হাঁসের ডিম এবং স্যানিটাইজ়ার পাঠাতে বলেন। এক জন আবার তালিকা দেওয়ার মিনিট পনেরোর মধ্যে আনাজ পৌঁছনোর আর্জি জানান।

Advertisement

বর্ধমানের সুভাষপল্লিকেও গণ্ডিবদ্ধ করা হয়েছে। সেখানে পাহারায় থাকা সিভিক ভলান্টিয়ারেরা জানান, বাসিন্দাদের কেউ-কেউ এসে তাঁদের বিড়ি-সিগারেট কিনে আনতে বলছেন।

পুলিশ অবশ্য জানায়, অত্যাবশ্যক জিনিস ছাড়া, অন্য কোনও দাবি আমল দেওয়া হচ্ছে না। পূর্ব বর্ধমানের পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এলাকায় নির্দিষ্ট সময়ে ঠেলাগাড়িতে আনাজ পাঠানোর কথা ভাবা হচ্ছে।’’

আরও পড়ুন: বিবর্তিত হতে হতে করোনা আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে, বলছে গবেষণা

(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement