ফাইল চিত্র।
তালিকা নিয়ে সন্তুষ্ট হতে পারেননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই নতুন করে কন্টেনমেন্ট জ়োনের তালিকা তৈরি করে বৃহস্পতিবার সেটি নবান্নে পাঠিয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন। এ বার তাতে মাত্র ৫৪টি কন্টেনমেন্ট এলাকার উল্লেখ করেছেন জেলা প্রশাসনের কর্তারা। সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, প্রথম তালিকায় কমবেশি ১০০টি এলাকা কন্টেনমেন্ট বলে চিহ্নিত হয়েছিল।
বুধবার মুখ্যমন্ত্রী প্রকাশ্যেই জানান, প্রথম তালিকাটির সঙ্গে তিনি সহমত হতে পারছেন না। কারণ, তাতে যত সংখ্যক এলাকাকে কন্টেনমেন্টের আওতায় ফেলা হয়েছে, সেটা তাঁর বাস্তবসম্মত বলে মনে হচ্ছে না। ফলে সেই তালিকা তখনই খারিজ হয়ে যায়। প্রশাসনের শীর্ষ কর্তারাও মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের সঙ্গে সহমত পোষণ করায় দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসনকে নতুন করে তালিকা তৈরি করতে হয়। এ দিন সর্বত্র নতুন করে তৈরি কন্টেনমেন্ট এলাকাগুলিতে নিয়ন্ত্রণ বিধি কার্যকর হওয়ার আগে সংশোধিত তালিকা নবান্নে পাঠায় দক্ষিণ ২৪ পরগনা।
জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, প্রথম তালিকা খারিজ হওয়ার পরে কোভিড-আক্রান্তের সংখ্যা, সংক্রমণের মাত্রা, সংক্রমিত এলাকার ম্যাপ এবং ‘কেস স্টাডি’ দেখে ৫৪টি এলাকাকে কন্টেনমেন্ট হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। পাশাপাশি, জেলায় পুরসভা ও পঞ্চায়েত অঞ্চলের বেশি সংক্রমিত এলাকাগুলিকেও রাখা হয়েছে সংশোধিত তালিকায়। পরিমার্জিত তালিকা বার বার যাচাই করে
তবে তা পাঠানো হয় নবান্নে। যদিও প্রথম তালিকা নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে চাননি জেলা প্রশাসনের কোনও অফিসার।
বুধবার মুখ্যমন্ত্রী মেডিক্যাল কলেজের ডাক্তারদের নিয়ে বৈঠক করেন। সেই বৈঠকে নতুন কন্টেনমেন্ট এলাকাগুলির তালিকা প্রকাশ করার নির্দেশ দেন তিনি। উত্তর ২৪ পরগনা, কলকাতা এবং হাওড়ার কন্টেনমেন্ট জ়োনের তালিকা তৈরিতে সন্তোষ প্রকাশ করলেও প্রশ্ন তোলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাঠানো তালিকা নিয়ে। মমতা ওই বৈঠকে মুখ্যসচিবের উদ্দেশে বলেন, “সব এলাকা আমি চিনি। এখান (দক্ষিণ ২৪ পরগনা) থেকে কোভিড বেরিয়েছে? কত বেড়েছে? কেস স্টাডি দরকার। ম্যাপ কোথায়। দক্ষিণ ২৪ পরগনার তালিকা রিভিউ হবে। এই তালিকার সঙ্গে একমত নই। দিতে হয় দিয়েছে! ভোটার লিস্ট দেখে করেছে নাকি? অন্য জেলাগুলো নিয়ে কিছু বললাম না। কারণ তারা খেটেখুটে করেছে। ওরা কি ঘরে বসে বানিয়েছে? এটা একেবারেই ঠিক কাজ নয়। নতুন করে তালিকা তৈরি করতে হবে।”
দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের একাংশের কথায়, আগের তালিকায় সাধারণ ভাবে সংক্রমিত এলাকাগুলি শনাক্ত করে কন্টেনমেন্ট জ়োন ঘোষণা করা হয়েছিল। তাই কন্টেনমেন্ট এলাকার সংখ্যা বেড়ে যায়। ফলে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা ছিল। নয়া তালিকায় অতি-সংক্রমিত এলাকাগুলিকেই রাখা হয়েছে।