প্রতীকী ছবি।
রাজ্যের বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে ভিন্রাজ্যের যে সমস্ত নার্সরা কর্মরত, তাঁদের একটা বড় অংশকে ফিরিয়ে নেওয়া হচ্ছে নিজেদের রাজ্যে। অনেকে আবার চাকরিতে ইস্তফাও দিয়ে দিচ্ছেন। করোনা আবহে উদ্ভুত এই পরিস্থিতিতে বড়সড় সঙ্কটের মুখে পড়তে পারে রাজ্যের বেসরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবা।
এ রাজ্যের বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে কর্মরত নার্সদের মধ্যে প্রায় ৭৫ শতাংশই আসেন ভিন্রাজ্য থেকে। তার মধ্যে একটা বড় অংশ উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলো থেকে আসেন। তাঁরা মূলত ত্রিপুরা, মণিপুর, মেঘালয় এবং মিজোরামের। বাকিরা কেরল, কর্নাটক, ওড়িশা-সহ বিভিন্ন রাজ্যের। সূত্রের খবর, গত ৯ মে রাজ্য সরকারের কাছে ১৮৫ জনের একটি ট্রানজিট পাস চেয়ে আবেদন করা হয় মণিপুর সরকারের তরফে। ওই ১৮৫ জনই এ রাজ্যের বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে নার্স হিসেবে কর্মরত। বাসে করে তাঁদের নিজেদের রাজ্যে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সূত্রের খবর, নিজেদের রাজ্যে কোভিড হাসপাতালে কাজ করলে প্রতি দিন নার্সদের ১ হাজার টাকা সঙ্গে খাওয়াদাওয়া দেওয়া হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে মণিপুর। একই সঙ্গে অন্য রাজ্যের অনেক নার্সই চাকরি থেকে ইস্তফা দেন। ফলে অন্য রাজ্যগুলোও একই পথে হাঁটতে পারে।
এই পরিস্থিতিতে পরিষেবার ক্ষেত্রে বড়সড় সঙ্কটের মুখে পড়তে পারে বেসরকারি হাসপাতালগুলি। আমরি হাসপাতালের সিইও তথা সিআইআই (পূর্বাঞ্চল)-এর হেল্থকেয়ার কমিটির চেয়ারম্যান রূপক বড়ুয়া বলেন, “মণিপুর, ত্রিপুরা, ওড়িশা নার্সদের ফিরিয়ে নিচ্ছে। তার ফলে এ রাজ্যের বেসরকারি হাসপাতালের পরিষেবায় সঙ্কট দেখা দিতে পারে। ভিন্রাজ্যের বিশেষ করে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলো থেকে আসা নার্সদের উপরে আমরা গত কয়েক বছর ধরে নির্ভরশীল। যদি যাঁরা নিজেদের রাজ্যে ফিরে যান, তা হলে সত্যিই একটা বড়সড় সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে আমাদের।”
আরও পড়ুন: সময়ের ব্যবধান কমিয়ে ভিড় ঠেকাতে বিভিন্ন রুটে বাড়ল সরকারি বাসের সংখ্যা
আরও পড়ুন: কেউ রাস্তায় হাঁটলে আদালত থামাবে কী করে? পরিযায়ী শ্রমিক নিয়ে মামলায় বলল শীর্ষ আদালত