গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
করোনায় দৈনিক আক্রান্ত এবং দৈনিক সুস্থের মধ্যে ব্যবধান এক ধাক্কায় অনেকটা কমে গেল মঙ্গলবার। দৈনিক সুস্থের সংখ্যা বেশি থাকলেও এখন দুই অঙ্কে এসে ঠেকেছে। সেই সঙ্গে দৈনিক মৃতের সংখ্যাও ফের এক বার পেরিয়ে গিয়েছে ৫০-এর গণ্ডি। তবে সুস্থতার হার গত কয়েক দিন ধরেই ধাপে ধাপে বাড়ছে। এ দিনও সেই প্রবণতা বজায় রইল।
মঙ্গলবার স্বাস্থ্য দফতরের প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণ থেকে সেরে উঠেছেন ৩ হাজার ৩৪০ জন রোগী। এর জেরে রাজ্যে এখনও অবধি সুস্থ হয়ে উঠেছেন মোট ৪ লক্ষ ৫৪ হাজার ১০২ জন।
গত কয়েক দিন ধরেই দৈনিক সুস্থ এবং দৈনিক আক্রান্তের মধ্যে ব্যবধান কমছে। মঙ্গলবার দৈনিক সুস্থের সংখ্যা দৈনিক আক্রান্তের তুলনায় বেশি। কিন্তু দু’টি মাইলস্টোনের মধ্যে দূরত্ব অনেকটা কমে গিয়েছে। তবে গত কালকের তুলনায় এ দিন নমুনা পরীক্ষার সংখ্যাও অনেকটা বেড়েছে। এ দিন রাজ্যে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৩১৫। সব মিলিয়ে রাজ্যে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪ লক্ষ ৮৬ হাজার ৭৯৯। রাজ্যে এই মুহূর্তে সক্রিয় রোগী রয়েছেন ২৪ হাজার ২১১ জন যা গত কালকের থেকেও কম।
(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন।)
আরও পড়ুন: তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রকে আরও জমি, আরও ৪ লক্ষ কর্মসংস্থান, আশ্বাস মুখ্যমন্ত্রীর
আরও পড়ুন: পিকে-র বিরুদ্ধে ক্ষোভ, শীলভদ্র দত্তের দেখা পেলেন না জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক
গত কয়েক দিন ধরে সুস্থতার হারও রোজই ধাপে ধাপে বাড়ছে। রবিবার সুস্থতার হার ছিল ৯৩.১৮ শতাংশ। সোমবার তা দাঁড়ায় ৯৩.২৩ শতাংশ। তার ২৪ ঘণ্টা পর সুস্থতার হার বে়ড়ে হয়েছে ৯৩.২৮ শতাংশ।
গত কাল করোনায় মৃতের সংখ্যা ছিল ৪৮। তবে মঙ্গলবার ৫২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই নিয়ে রাজ্যে করোনায় প্রাণ হারালেন ৮ হাজার ৪৭৬ জন। এ দিন উত্তর ২৪ পরগনায় ১১ এবং কলকাতায় ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। হাওড়া এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৬ জন করে মারা গিয়েছেন।
প্রতি দিন যে সংখ্যক কোভিড টেস্ট করা হয়, তার মধ্যে যত শতাংশের রিপোর্ট পজিটিভ আসে, তাকেই ‘পজিটিভিটি রেট’ বা সংক্রমণের হার বলা হয়। মঙ্গলবার সংক্রমণের হার আগের দিনের তুলনায় বেড়ে হয়েছে ৭.৬৭ শতাংশ।
জেলাভিত্তিক করোনা সংক্রমণের মানচিত্রে মঙ্গলবারও এগিয়ে রয়েছে কলকাতা (৮০৭) এবং উত্তর ২৪ পরগনা (৭৯৬)। এ ছা়ড়া করোনা সংক্রমণ থাবা বসিয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা (২০৯), হাওড়া (১৭১), পূর্ব মেদিনীপুর (১৪০), নদিয়া (১৩৬), হুগলি (১১৮) এবং জলপাইগুড়ি (১১৩)-তেও।