গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
লাগাতার তিন সপ্তাহ ধরে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যাকে ছাপিয়ে যাচ্ছে দৈনিক সুস্থের সংখ্যা। বুধবারও তার ব্যতিক্রম ঘটল না। পাশাপাশি এ দিন গত কালকের থেকেও বাড়ল সুস্থতার হার। সেই সঙ্গে আগের দিনের তুলনায় রাজ্যে সক্রিয় রোগীর সংখ্যাও বেশ কিছুটা কমেছে। করোনা সংক্রমণের মানচিত্রে এতগুলি ইতিবাচক দিকের পরেও উদ্বেগ জিইয়ে রেখেছে ৮ শতাংশের বেশি সংক্রমণের হার।
রাজ্যে গত ২০ দিন ধরে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যাকে ছাপিয়ে যাচ্ছে দৈনিক সুস্থের সংখ্যা। সেই প্রবণতা এ দিনও বহাল। স্বাস্থ্য দফতর প্রকাশিত বুধবারের বুলেটিন অনুযায়ী, রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪ লক্ষ ৪১ হাজার ৮৮৫ জন। ইতিমধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৪ লক্ষ ৭ হাজার ৭৬৯ জন। এ দিনই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ৪ হাজার ৪২৯ জন। স্বাভাবিক ভাবেই এ দিন সুস্থতার হার ৯২.৮ শতাংশে গিয়ে পৌঁছেছে।
দৈনিক সংক্রমণের গ্রাফ এ দিনও নিম্নমুখী। রাজ্যে এ দিন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৬৬৮ জন। গত কাল পর্যন্ত রাজ্যে সক্রিয় করোনা রোগী ছিল ২৭ হাজার ১১১ জন। এ দিন তা এক ধাক্কায় কমে হয়েছে ২৬ হাজার ২৯৬ জন।
(গ্রাফে হোভার টাচ করলে দিনের পরিসংখ্যান দেখা যাবে)
আরও পড়ুন: নীলবাড়ির লড়াইয়ে পদ্মের পাঁচ নেতা, বাঙালিতে অনাস্থা, কটাক্ষ তৃণমূলের
আরও পড়ুন: ‘জাতীয় ছুটি’ ঘোষণা করুন নেতাজির জন্মদিনে, মোদীকে চিঠি দিলেন মমতা
এখনও পর্যন্ত করোনায় মোট মৃত্যু হয়েছে ৭ হাজার ৮২০ জনের। এর মধ্যে এ দিন প্রাণ হারিয়েছেন ৫৪ জন। উত্তর ২৪ পরগনা (১৯) এবং কলকাতা (১১) মিলিয়েই ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া হুগলিতে ৫ এবং হাওড়ায় ৪ জন মারা গিয়েছেন। ৩ জন করে প্রাণ হারিয়েছেন মুর্শিদাবাদ, পূর্ব মেদিনীপুর এবং নদিয়া জেলায়।
গত কয়েক দিন ধরে কলকাতা এবং উত্তর ২৪ পরগনায় করোনা সংক্রমণ আটকে ছিল ৭০০-র গণ্ডিতে। এ দিন অবশ্য ভিন্ন ছবি। কলকাতায় নতুন আক্রান্ত ৮৭৪ এবং উত্তর ২৪ পরগনায় ৮০৫ জন। এ ছাড়া দুশোর বেশি আক্রান্ত দক্ষিণ ২৪ পরগনা (২৪৯), নদিয়া (২৪৭), হুগলি (২৪৫) এবং হাওড়া (২১০)-য়। এ দিনই শতাধিক আক্রান্ত হয়েছেন দার্জিলিং (১৪৮) এবং জলপাইগুড়ি (১৪১) জেলায়।
প্রতি দিন যত সংখ্যক কোভিড পরীক্ষা করা হয়, তার মধ্যে প্রতি ১০০ জনে যত জনের রিপোর্ট পজিটিভ আসে, তাকে ‘পজিটিভিটি রেট’ বা সংক্রমণের হার বলা হয়। গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৪ হাজার ৫১৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে যা গত কালকের থেকে অনেকটাই বেশি। তার পরেও নতুন সংক্রমিতের সংখ্যা দৈনিক সুস্থের থেকে কিছুটা নীচে থাকায় আশার আলো দেখছেন অনেকেই। তবে এ দিন সংক্রমণের হার ৮.২৪ শতাংশ।