গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
মঙ্গলবার করোনার টিকা এসে পৌঁছেছে রাজ্যে। অতিমারি নিয়ে শঙ্কার ছায়াও ক্রমশ ক্ষীণ থেকে ক্ষীণতর হচ্ছে। এই আবহে দৈনিক করোনা-পরিসংখ্যানেও স্বস্তির বাতাবরণ। সক্রিয় রোগীর সংখ্যা সাড়ে ৭ হাজারের নীচে নেমে গিয়েছে। এক ধাক্কায় সংক্রমণের হারও নেমে গিয়েছে আড়াই শতাংশের নীচে। সুস্থতার হারও বাড়ছে ধাপে ধাপে। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি অনেকটা উন্নতি করেছে বলেই মনে করছেন রাজ্যের স্বাস্থ্যকর্তারা।
স্বাস্থ্য দফতর প্রকাশিত মঙ্গলবারের বুলেটিন অনুযায়ী, রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৭৫১ জন। এর ফলে রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এখন ৫ লক্ষ ৬২ হাজার ৭২। সোমবার অবশ্য রাজ্যে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৬১২। তবে ওই দিন নমুনা পরীক্ষা হয়েছিল ২৩ হাজারের কিছু বেশি। মঙ্গলবার অবশ্য ৩৩ হাজারের সামান্য বেশি কোভিড টেস্ট করা হয়েছে। এর মধ্যে করোনা ধরা পড়েছে ৭৫১ জনের।
প্রতিদিন কত সংখ্যক টেস্ট হচ্ছে এবং তার মধ্যে প্রতি ১০০ জনে কত জনের রিপোর্ট পজিটিভ আসছে, সেই পরিসংখ্যানকেই বলা হয় পজিটিভিটি রেট বা সংক্রমণের হার। সোমবার সংক্রমণের হার ছিল ২.৬৩ শতাংশ। মঙ্গলবার টেস্ট বাড়ার পরেও সংক্রমণের হার ২.২৭ শতাংশ।
আরও পড়ুন: শুধু মন্ত্রিত্বই নয়, এক মহিলার জন্য সন্তানও ছেড়েছেন শোভন: রত্না
আরও পড়ুন: ‘স্বাস্থ্যসাথী’র কার্ড হাতে পেল দিলীপ ঘোষের পরিবার
দৈনিক সুস্থের সংখ্যা মঙ্গলবারও দৈনিক আক্রান্তকে ছাপিয়ে গিয়েছে। তবে দৈনিক সুস্থের সংখ্যা এ দিনও এক হাজারের নীচে। এ দিন হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ৮৭৯ জন। এর ফলে রাজ্যে এ পর্যন্ত সুস্থের সংখ্যা এখন ৫ লক্ষ ৪৪ হাজার ৭০৫ জন। এ দিন সুস্থতার হার সামান্য বেড়ে হয়েছে ৯৬.৯১ শতাংশ। রাজ্যে এই মুহূর্তে সক্রিয় করোনা রোগী রয়েছেন ৭ হাজার ৩৯২ জন যা সোমবারের থেকে ১৪৬ জন কম। গত বেশ কয়েক দিন ধরেই সক্রিয় রোগীর সংখ্যা এই প্রবণতা জারি রয়েছে।
মঙ্গলবার মৃত্যু হয়েছে ১৮ জনের। এর ফলে রাজ্যে করোনায় মোট মৃত্যু হল ৯ হাজার ৯৭৫ জনের।
রাজ্যে দৈনিক সংক্রমিতের সংখ্যায় শীর্ষ স্থানে কলকাতা। মহানগরীতে আক্রান্ত ২৩০ জন। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। সেখানে সংক্রমিত হয়েছেন ২২০ জন। এ ছাড়া রাজ্যের বাকি জেলাগুলিতে করোনার প্রকোপ অনেকটাই স্তিমিত।