Coronavirus in West Bengal

২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত ৯৮, সবচেয়ে কম টিকাকরণ, আক্রান্ত ফের সাড়ে ১৭ হাজার

সোমবার রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী, কলকাতা এবং উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় প্রায় ৪ হাজারের কাছাকাছি নতুন করে সংক্রমিত হলেন।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৩ মে ২০২১ ২১:২১
Share:

গ্রাফিক: নিরুপম পাল।

করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা হু হু করে বাড়তে থাকলেও ১ দিনে রাজ্যে মাত্র ১ হাজার ৬১৫ জনের টিকাকরণ হল। করোনাকালে দৈনিক টিকাকরণের সংখ্যার নিরিখে যা এখনও পর্যন্ত সর্বনিম্ন। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্তের ফের সাড়ে ১৭ হাজারের গণ্ডি পার করল। এই নিয়ে টানা ৬ দিন নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা ১৭ হাজারের বেশি হল। কলকাতা এবং উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় প্রায় ৪ হাজারের কাছাকাছি নতুন করে সংক্রমিত হলেন। সেই সঙ্গে, দৈনিক মৃত্যু প্রায় ১০-র কাছাকাছি পৌঁছল।

Advertisement

সোমবার রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১৭ হাজার ৫০১ জন। এর মধ্যে শুধুমাত্র কলকাতা এবং উত্তর ২৪ পরগনায় সংক্রমণ ছড়িয়েছে যথাক্রমে ৩ হাজার ৯৯০ ও ৩ হাজার ৯৬৫ জনের মধ্যে। এ ছাড়া, হাওড়া (৯৯০), দক্ষিণ ২৪ পরগনা (৯৬২), পশ্চিম বর্ধমান (৯৬৪), বীরভূম (৮৩৩), হুগলি (৮০৪), নদিয়া (৮৯৪), পূর্ব মেদিনীপুর (৬৫৬) এবং মালদহ (৫২২) জেলায় নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা যথেষ্ট উদ্বেগজনক। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে আক্রান্তের মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ লক্ষ ৮০ হাজার ৮৯৪।

স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে মোট ৯৮ জন কোভিড রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে উত্তর ২৪ পরগনায় ২৩, কলকাতায় ২১ এবং হাওড়ায় ৭ জন মারা গিয়েছেন। অন্য দিকে, বাঁকুড়া এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৬ জন করে সংক্রমিতের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া, জলপাইগুড়ি, বীরভূম, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং পশ্চিম বর্ধমানে ৪ জন করে মারা গিয়েছেন। মালদহ, নদিয়া এবং হাওড়ায় ৩ জন করে আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে। আলিপুরদুয়ার এবং দার্জিলিঙে ২ জন করে মারা গিয়েছেন। একই সঙ্গে, কোচবিহার, দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মুর্শিদাবাদে ১ জন করে রোগীর মৃত্যু হয়েছে। সব মিলিয়ে রাজ্যে মোট ১১ হাজার ৬৩৭ জনের মৃত্যু হল বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর।

Advertisement

গত কয়েক দিন ধরেই দৈনিক সংক্রমণের হার ৩১ শতাংশে বা তার আশপাশে ঘোরাফেরা করছে। গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড টেস্ট করা হয়েছে ৫৫ হাজারের বেশি। ওই সময়ের মধ্যে সংক্রমণের হার দাঁড়িয়েছে ৩১.৬৫ শতাংশে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement