গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
রাজ্যে দৈনিক করোনা আক্রান্তের চেয়ে দৈনিক সুস্থতার হার বাড়ছে। গত ২৪ অগস্ট থেকে আজ বুধবার পর্যন্ত টানা ১০ দিন ধরে করোনা-চিত্রে সেই একই ধারা বজায় রয়েছে। মঙ্গলবার রাজ্যে সুস্থ হয়ে ওঠার সংখ্যা ছিল ৩ হাজার ৩৪৬। স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৩ হাজার ২৯৭ জন। তবে আক্রান্তের সংখ্যা তার কম।
এ দিন রাজ্যে নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ২ হাজার ৯৭৬ জন। এর ফলে রাজ্যে মোট করোনা রোগীর সংখ্যা এখন ১ লক্ষ ৬৮ হাজার ৬৯৭। কিন্তু সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১ লক্ষ ৪০ হাজারের বেশি মানুষ। রাজ্যে এখন সক্রিয় করোনা রোগী রয়েছেন ২৪ হাজার ৪৪৫ জন। রাজ্যে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ধারাবাহিক ভাবে কমে আসাটা আশাব্যাঞ্জক বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা।
মঙ্গলবার রাজ্যে করোনায় প্রাণ হারিয়েছিলেন ৫৫ জন। এ দিন মৃত্যু হয়েছে ৫৬ জনের। সব মিলিয়ে রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ৩ হাজার ৩৩৯ জন করোনা রোগী প্রাণ হারিয়েছেন।
(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন।)
তবে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা যে হারে বাড়ছে, তার চেয়ে রাজ্যে সুস্থতার হার অনেকটাই বেশি। এটাই স্বস্তি জোগাচ্ছে প্রশাসনকে। সব মিলিয়ে রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ১ লক্ষ ৪০ হাজার ৯১৩ জন করোনা রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। তার ফলে রাজ্যে সুস্থতার হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৩.৫৩ শতাংশ।
প্রতি দিন যত জন রোগীর কোভিড টেস্ট করা হচ্ছে এবং তার মধ্যে প্রতি ১০০ জনে যত সংখ্যক রোগীর কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ আসছে, তাকেই ‘পজিটিভিটি রেট’ বা সংক্রমণের হার বলা হয়। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে ৪৪ হাজার ১২০ জনের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে, দৈনিক টেস্টের নিরিখে এখনও পর্যন্ত যা সর্বাধিক। তার পরেও এ দিন সংক্রমণের হার দাঁড়িয়েছে ৬.৭৫ শতাংশ।
দৈনিক সংক্রমণের নিরিখে এ দিনও শীর্ষে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। সেখানে ৭২৮ জনের নতুন করে করোনা ধরা পড়েছে। ওই জেলায় মোট করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ৩৫ হাজার ২৫৯ জন। মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের। এই নিয়ে ওই জেলায় করোনায় প্রাণ হারালেন ৭৫৭ জন।
কলকাতায় এ দিনও করোনা সংক্রমণে কিছুটা কম। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৯৩ জন। এই নিয়ে মহানগরীতে মোট করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৪১ হাজার ১০১ জন। তবে সেখানে মৃত্যু হয়েছে ১৭ জনের। এই নিয়ে কলকাতায় ১ হাজার ৩১৮ জনের মৃত্যু হল।
এ ছাড়া দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ১৩৭, হুগলিতে ২৪৭, হাওড়ায় ১৫০, পূর্ব বর্ধমানে ৫৩, পশ্চিম বর্ধমানে ১০০, পূর্ব মেদিনীপুরে ১৪৪, পশ্চিম মেদিনীপুরে ১২৯, বাঁকুড়ায় ১০৩, পুরুলিয়ায় ৬০, বীরভূমে ৪০, নদিয়ায় ৭০ এবং মুর্শিদাবাদে ৫৪ জন নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন এ দিন। হাওড়ায় ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৫ এবং পূর্ব মেদিনীপুরে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ারে ১০৩, কোচবিহারে ১২৬, দার্জিলিঙে ৮৭, জলপাইগুড়িতে ১২৪, উত্তর দিনাজপুরে ৪০, দক্ষিণ দিনাজপুরে ৪৪ এবং মালদহে ৩৪ জনের নতুন করে করোনা ধরা পড়েছে। আলিপুরদুয়ারে এ দিন ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
(জরুরি ঘোষণা: কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের জন্য কয়েকটি বিশেষ হেল্পলাইন চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই হেল্পলাইন নম্বরগুলিতে ফোন করলে অ্যাম্বুল্যান্স বা টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত পরিষেবা নিয়ে সহায়তা মিলবে। পাশাপাশি থাকছে একটি সার্বিক হেল্পলাইন নম্বরও।
• সার্বিক হেল্পলাইন নম্বর: ১৮০০ ৩১৩ ৪৪৪ ২২২
• টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-২৩৫৭৬০০১
• কোভিড-১৯ আক্রান্তদের অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-৪০৯০২৯২৯)