বিধাননগরে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে মৌনি প্রতিবাদ কংগ্রেসের। নিজস্ব চিত্র।
করোনা পরিস্থিতিতে সমাবেশের প্রশ্ন নেই। এ বার ১ মে বিভিন্ন জায়গায় মাস্ক, স্যানিটাইজ়ার বিলি করে এবং করোনা সচেতনতার প্রচার চালিয়ে শ্রমিক দিবস পালন করবে শ্রমিক সংগঠনগুলি। সারা রাজ্যেই কিছু জায়গা বেছে নিয়ে করোনা মোকাবিলার সরঞ্জাম বিলি করা হবে, স্থানীয় স্তরেও চলবে সচেতনতার প্রচার।
সিপিএমের পলিটবুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম বুধবার আলিমুদ্দিনে জানিয়েছেন, গত বছর করোনা পরিস্থিতিতে সাংগঠনিক ভাবে যে সব কাজ তাঁরা করেছিলেন, অভিজ্ঞতা সঞ্চার করে সে সবই তাঁরা আবার চালু করছেন। সেলিম বলেন, ‘‘আপৎকালীন পরিস্থিতিতে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য রেড ভলান্টিয়ার্স তৈরি হয়েছে। সহ-নাগরিকদের সহায়তার লক্ষ্যে ওই স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীতে যোগ দেওয়ার আর্জি জানিয়ে আমরা মঙ্গলবার সামাজিক মাধ্যমে আবেদনপত্র দিয়েছিলাম। বহু মানুষের সাড়া আমরা পেয়েছি, যাঁরা এই সঙ্কটের সময়ে কাজ করতে চান।’’ বোকারো স্টিল প্ল্যান্টের মতো জায়গায় যে কর্মচারীরা টানা তিন শিফ্টে কাজ করে ইন্ডাস্ট্রিয়াল থেকে মেডিক্যাল অক্সিজেন তৈরি করছেন, সেই রকম ‘যোদ্ধা’দেরও এ বার মে দিবসে কুর্নিশ জানানো হবে বলে সেলিম জানিয়েছেন। বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুও জানিয়েছেন, আগামী ১ মে সকালে এক ঘণ্টা জেলায় জেলায় সচেতনতা প্রচারের কর্মসূচি চলবে।
সচেতনতা ও সহায়তার পাশাপাশি সকলের জন্য করোনার টিকার দাবিও বজায় রাখছে বাম ও কংগ্রেস। বিধাননগরের সেক্টর-২’এ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিধানচন্দ্র রায়ের মূর্তির সামনে এ দিনই কোভিড বিধি মেনে প্ল্যাকার্ড হাতে মৌনী বিক্ষোভ-জমায়েত করেছিলেন কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকেরা। সেখানে ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক ও রাসবিহারীর প্রার্থী আশুতোষ চট্টোপাধ্যায়। কোভিডের ওষুধ, অক্সিজেন, পাল্স অক্সিমিটারের কালোবাজারির প্রতিবাদ, কোভিডের ওষুধের উপরে জিএসটি প্রত্যাহারের দাবির পাশাপাশি করোনার পরবর্তী সংক্রমণের আশঙ্কা মাথায় রেখে কেন্দ্র বা রাজ্য কোনও সরকারই কেন পরিকাঠামো তৈরিতে নজর দেয়নি, সেই প্রশ্ন এ দিন তুলেছেন আশুতোষেরা।