হাওড়া স্টেশনের বেস কিচেনে প্রতিদিন প্রায় ৫০০ জনের খাবার তৈরি হত। —নিজস্ব চিত্র।
করোনায় আক্রান্ত হাওড়া স্টেশনের বেস কিচেনের ১০ জন কর্মী। এর জেরে ব্যাহত হচ্ছে পরিষেবা। যদিও ১৮-২০ জন কর্মী নিয়েই পরিষেবা চালু রাখার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন কিচেনের কর্মীরা।
পূর্ব রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, এই কিচেনে মোট ৬০ জন কর্মী নিয়ে ৩টে শিফ্টে কাজ চলত। প্রতিদিন প্রায় ৫০০ জনের খাবার তৈরি হত। লকডাউনের সময় দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর ফের চালু হয় আইআরসিটিসি পরিচালিত এই কিচেন। তবে এই মুহূর্তে মাত্র এক-তৃতীয়াংশ কর্মী নিয়েই চলছে পরিষেবা। সম্প্রতি পর পর ১০ জনের কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ আসায় চিন্তিত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। তাঁরা জানিয়েছেন, সংক্রমিতদের গৃহ নিভৃতবাসে রাখা হয়েছে। চিকিৎসার পরে কোভিড রিপোর্ট নেগেটিভ এলে তবেই তাঁদের বেস কিচেনে কাজ করার অনুমতি দেওয়া হবে। কিন্তু, কর্মীদের মধ্যে সংক্রমণ এ ভাবে ছড়াতে থাকলে পরিষেবা বন্ধ হওয়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না কর্তৃপক্ষ। পরিষেবা চালু রাখার জন্য বিভিন্ন জায়গা থেকে অন্য দফতরের কর্মী নিয়ে এসে পরিস্থিতি সামাল দিচ্ছেন তাঁরা। যদিও আক্রান্তের সংখ্যা যে ভাবে বাড়ছে, তাতে ভবিষ্যতে আরও কর্মী সংক্রমিত হতে পারেন বলে আশঙ্কা করছেন কর্তৃপক্ষ। সে ক্ষেত্রে আইআরসিটিসি-র পূর্বাঞ্চলের অন্যান্য জায়গা থেকে কর্মী নিয়ে এসে পরিষেবা চালু রাখার চেষ্টা করা হবে বলে সংস্থা সূত্রে খবর।
পূর্ব রেলের এই বেস কিচেন থেকেই বিভিন্ন দূরপাল্লার বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ট্রেনে খাবার সরবরাহ করা হয়। কিন্তু করোনার আবহে আপাতত সে পরিষেবা বন্ধ রেখেছে রেল। এখন শুধু জনআহারের মাধ্যমেই যাত্রীদের পরিষেবা দিচ্ছে বেস কিচেন। হাওড়ার পূর্ব রেলের বেস কিচেনের ইউনিট ইনচার্জ বাবলু আইচ বলেন, “কোভিডের কারণে ইতিমধ্যে আমাদের বিক্রি কমেছে প্রায় ৫০ শতাংশের বেশি। এই মুহূর্তে কম সংখ্যক কর্মী নিয়ে পরিষেবা চালু রাখাটাই চ্যালেঞ্জ।”