প্রতীকী ছবি।
অতিমারির তৃতীয় তরঙ্গে এ বার শিশুদের সংক্রমণ বাড়তে পারে, এই আশঙ্কা করে শিশুদের থেকে শারীরিক দূরত্ব বজার রাখার পরামর্শ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার পানাগড়ে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘‘বাচ্চাদের খুব আদর করি আমরা। কখনও গালে চুমু খাই। কখনও মাথায় হাত বুলিয়ে দিই। কখনও মাথায় একটা চুমু খেয়ে নিলাম। এখন এ গুলো থেকে দূরে থাকতে হবে। এমনিই আদর করে দিন। আমার মনে হয়, ওদের ভাল থাকতে হবে। ওরা আমাদের ভবিষ্যৎ।’’
এ দিন টিকা নিয়েও অভিযোগ তোলেন মমতা। বলেন, ‘‘টিকা আমাদের হাতে নেই। নিয়ম অনুযায়ী এটা কেন্দ্র পাঠায়। আমরা যা টিকা পেয়েছি, তার মাইনাস সাত শতাংশ অপচয় হয়েছে। আর কিছু অপচয় হয়নি। গত কাল পর্যন্ত চার কোটি টিকাকরণ হয়েছে। কিন্তু শিশুদের ধরলে আমার প্রয়োজন ১৪ কোটি টিকা।” তৃতীয় ঢেউয়ের দিকে নজর রেখে বাচ্চাদেরও টিকা প্রাপকের তালিকায় ধরেই হিসেবটা করতে হচ্ছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। তবে, সবাই টিকা পাবেন, কেউ তা থেকে বঞ্চিত হবেন না বলেও তিনি আশ্বাস দিয়েছেন। কিন্তু টিকা নিতে গিয়ে হুড়োহুড়ি করে ভিড় না করা এবং আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শও দেন মমতা। তিনি বলেন, “মাস্ক পরুন, শরীর ঠিক রাখুন। চিকিৎসকেরা যাঁদের পরামর্শ দেবেন, সেই মতো তাঁদের নিউমোনিয়া ইঞ্জেকশনটা দিতে হবে।”
মঙ্গলবার রাজ্যে টিকা পেয়েছিলেন ১২ লক্ষ ৩৬ হাজার ৮২৫ জন। কিন্তু এ দিন ততটা টিকাকরণ হয়নি। রাত দশটা পর্যন্ত কো-উইন পোর্টাল থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী টিকা প্রাপকের সংখ্যা ছিল ৪ লক্ষ ৪২ হাজার ৮১১ জন। এ দিন পর্যন্ত রাজ্যে টিকা পেয়েছেন মোট ৪ কোটি ১৫ লক্ষ ৮৪ হাজার ৯৬৬ জন। স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিকের কথায়, “দৈনিক ১০ লক্ষ টিকা দেওয়ার যে পরিকাঠামো তৈরি রয়েছে, তার প্রমাণ মিলেছে। বুধ ও বৃহস্পতিবার রাজ্যে পোলিও সহ অন্যান্য টিকাকরণও হচ্ছে। সেই কারণে অনেক কেন্দ্রে এ দিন করোনা টিকা দেওয়া বন্ধ ছিল। তাও চার লক্ষের বেশি হয়েছে।”