প্রতীকী ছবি।
এক দিনে নতুন করে আক্রান্তের নিরিখে কলকাতাকে পিছনে ফেলে দিল মালদহ। সোমবার রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিনে জানানো হয়েছে, সারা রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৪৯ জন। সেই আক্রান্তের তালিকায় কলকাতার বাসিন্দা ২৮ জন। মালদহে আক্রান্তের সংখ্যা ৩৪। যার প্রেক্ষিতে রাজ্যের যে ১৬টি জেলায় নতুন আক্রান্তের হদিস মেলার কথা স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিনে জানানো হয়েছে, তার মধ্যে উত্তরবঙ্গের এই জেলার নাম সবার প্রথমে। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের মাপকাঠিতে এই প্রথম উত্তরবঙ্গের কোনও জেলা সবার প্রথমে উঠে এল।
সোমবারের পরে রাজ্যে মোট করোনা পজ়িটিভের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৮১৬। গত ২৪ ঘণ্টায় সরাসরি করোনার কারণে মৃত্যু হয়েছে আরও ছ’জনের। এ পর্যন্ত করোনার কারণে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ২০৬ জন। কো-মর্বিডিটির কারণে ৭২ জনের মৃত্যু ধরে রাজ্যে করোনা পজ়িটিভ মোট মৃতের সংখ্যা হল ২৭৮। তবে এ দিনের বুলেটিনে কলকাতাকে পিছনে ফেলে যে ভাবে মালদহে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চলেছে, তা স্বাস্থ্য দফতরের কাছে চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্বাস্থ্য দফতরের খবর, এই বৃদ্ধির একটা বড় কারণ পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরা।
পাশাপাশি ডায়ালিসিস ইউনিট থেকে করোনা সংক্রমণের ঘটনাও স্বাস্থ্য দফতরকে উদ্বেগে রেখেছে। যার প্রেক্ষিতে এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশিকা জারি করেছে স্বাস্থ্য ভবন। নির্দেশিকায় ডায়ালিসিস ইউনিট থেকে সংক্রমণের জেরে রাজ্য জুড়ে কিডনির অসুখে আক্রান্ত রোগীরা যে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন তা কার্যত স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ডায়ালিসিস রোগীর করোনা পজ়িটিভ ধরা পড়লে যে ভাবে ইউনিটের স্বাস্থ্যকর্মীরা কোয়রান্টিনে চলে যাচ্ছেন, তা রোধে একটি আদর্শ আচরণবিধি প্রয়োজন। সেই লক্ষ্যে সারা রাজ্যে ২৮টি সরকারি ডায়ালিসিস ইউনিটের জন্য বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষক-চিকিৎসকদের ‘মেন্টর’ হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রতি সাত দিন অন্তর একটি রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে নির্দেশিকায়। কী ভাবে কাজ করলে সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে, সে বিষয়ে সাহায্য করবেন এই মেন্টরেরা।
সরকারি এবং বেসরকারি ইউনিটে ডায়ালিসিস করানোর আগে রোগীদের জ্বর রয়েছে কি না তা নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে নির্দেশিকায়। একই সঙ্গে ডায়ালিসিস রোগীদের মাস্ক বাধ্যতামূলক করতে বলা হয়েছে।