বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী ও বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান।
রাজ্য সরকার যে ভাবে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা করছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে পথে নামতে চান বাম ও কংগ্রেস নেতারা। আরও বেশি পরীক্ষা, আক্রান্ত ও মৃতদের সংখ্যা সম্পর্কে ‘বিভ্রান্তি’ তৈরি না করা এবং সব বিপন্ন মানুষের কাছে খাদ্য ও ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার দাবি সংবলিত প্ল্যাকার্ড গলায় ঝুলিয়ে কাল, শনিবার শহরের রাস্তায় বসতে চান দুই বিরোধী পক্ষের নেতৃত্ব।
বামফ্রন্টের বৈঠকে বৃহস্পতিবার ঠিক হয়েছে, এন্টালি মার্কেটে শনিবার ফ্রন্টের শরিক ও সহযোগী মিলিয়ে ১৭ দলের ওই প্রতীকী কর্মসূচিতে প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বকেও শামিল করা হবে। প্রত্যেক জেলায় একই ধরনের কর্মসূচি হবে ২৪ এপ্রিল। তবে লকডাউনের মধ্যে এবং বিশেষত ‘হটস্পট’ বলে কেন্দ্রীয় সরকারের চিহ্নিত কলকাতায় দূরত্ব রেখে হলেও কত জন এমন ‘প্রতীকী’ প্রতিবাদে শামিল হতে পারবেন, তা ঠিক করার জন্য আরও আলোচনা করবেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু ও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র।
করোনা সংক্রান্ত তথ্য গোপন এবং রাজ্যের সর্বত্র সব মানুষের কাছে রেশন বা প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী না পৌঁছনোর অভিযোগ জানিয়ে এ দিনই মুখ্যমন্ত্রীকে খোলা চিঠি দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান ও বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী। চিঠির পরে মুখ্যসচিব রাজীব সিংহ ফোন করেছিলেন সুজনবাবুকে। করোনা-তথ্য নিয়ে রাজ্য সরকারের মনোভাব নিয়ে তাঁদের প্রশ্নের কথা মুখ্যসচিবকেও জানিয়েছেন সুজনবাবু। পাশাপাশিই খাদ্যসচিবকে বদলি করার সরকারি সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে সুজনবাবু বলেন, ‘‘রেশনের সামগ্রী সব জায়গায় ঠিকমতো না পৌঁছনোর জন্য স্থানীয় স্তরে যাঁরা দায়ী, তাঁদের চিহ্নিত করা হোক। খাদ্যসচিবকে সরিয়ে কী হবে!’’ আরও পরীক্ষা ও তথ্য প্রকাশের দাবিতে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন কংগ্রেস সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্যও। তাঁর বক্তব্য, ‘‘তথ্য নিয়ে কারও সঙ্গে রাজনৈতিক রেষারেষির দরকার নেই। মানুষের স্বার্থেই আরও বেশি পরীক্ষা ও পরিষ্কার তথ্য জরুরি।’’
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)