মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র
সেপ্টেম্বরের শেষ দিক থেকে করোনার সংক্রমণ কমতে শুরু করবে বলে বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে জেনেছেন তিনি। স্বাভাবিক হবে জীবনযাত্রা। আর তার পরেই জেলা সফরে বেরিয়ে পড়বেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার নবান্নে ভার্চুয়াল প্রশাসনিক বৈঠকে এ কথা জানান তিনি।
রাজ্যের স্বাস্থ্যকর্তারা জানাচ্ছেন, দেশে করোনা সংক্রমণের বৃদ্ধি ঘটেছে ছ’টি পর্যায়ে। প্রথমে বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের মাধ্যমে দেশে করোনা ছড়ায়। পরের ধাপে লকডাউন ওঠার পরে পরিযায়ী শ্রমিকেরা রাজ্যে রাজ্যে ফেরার পরে আবার সংক্রমণ বাড়তে থাকে। এর পরে তিনটি ধাপে আনলক পর্বের পরেই সংক্রমণের ধারা বেড়েছে। এখন চলছে ষষ্ঠ পর্যায়।
পয়লা সেপ্টেম্বর থেকে শেষ ধাপের আনলক পর্ব শুরু হবে। স্কুল-কলেজ ছাড়া বাকি প্রায় সবই খুলে যাবে। ফলে সেপ্টেম্বরের প্রথম দু’সপ্তাহ সংক্রমণ তীব্র হলেও তৃতীয় সপ্তাহ থেকে তা নিম্নগামী হবে বলেই আশা করছেন স্বাস্থ্যকর্তারা। মুখ্যমন্ত্রীও মনে করছেন, মহালয়ার পর থেকে সংক্রমণ কমতে শুরু করবে। পুজোর আগেই রাজ্যের জনজীবন স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
তবে সাবধানতা বজায় রাখতে সরকারি কর্মী, চিকিৎসক, নার্স-সহ কোভিড যোদ্ধাদের জন্য ১০ লক্ষ টাকার বিমা নভেম্বর পর্যন্ত বহাল রাখার কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী।
মমতা জানান, আশা কর্মীরা ৩০.৫ কোটি বাড়িতে গিয়ে সমীক্ষা চালিয়েছেন। সাড়ে ৮ হাজার তীব্র শ্বাসকষ্টের (সারি) রোগীর সন্ধান মিলেছে। জ্বরের রোগী (আইএলআই) মিলেছে সাড়ে ৩ লাখ। এঁদের উপর নজরদারি চালানো হচ্ছে। কলকাতা পুরসভা ও স্বাস্থ্য দফতর যৌথ ভাবে হাইপারটেনশন, ডায়াবিটিসের মতো কো-মর্বিডিটির সমীক্ষা করতে চলছে।
গত বছর জুনে রাজ্যে স্বাভাবিক মৃত্যুর সংখ্যা যা ছিল, এ বছর তার চেয়ে ৩৫% কম হয়েছে বলে জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, কো-মর্বিডিটির কারণে মৃতদের নামও করোনার তালিকায় উঠে যাচ্ছে। স্বাস্থ্যসচিবকে অগস্ট পর্যন্ত মৃত্যুহারের তুলনামূলক নথি তৈরি করার নির্দেশ দেন তিনি।