প্রতীকী ছবি।
প্লাজ়মা কনভালসেন্ট থেরাপি বা প্লাসিড (কনভালসেন্ট প্লাজ়মা টু লিমিট কোভিড-১৯ অ্যাসোসিয়েটেড কমপ্লিকেশনস ইন মডারেট ডিজ়িজ়) ট্রায়াল নিয়ে গবেষণা চলছে সারা বিশ্বেই। সংক্রমিতের প্লাজ়মা বা রক্তরসকে কাজে লাগিয়ে করোনা চিকিৎসার সম্ভাবনা খতিয়ে দেখতে এ বার পশ্চিমবঙ্গের চারটি বেসরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানকে অনুমোদন দিল ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ বা আইসিএমআর।
করোনা রোগী সুস্থ হলে তাঁর দেহে কোভিডের মোকাবিলায় সক্ষম অ্যান্টিবডি তৈরি হয়। প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, এমন করোনা-আক্রান্তের শরীরে সেই অ্যান্টিবডি পাঠালে কী ফল হয়, তা দেখতেই গবেষণা হচ্ছে। ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব কেমিক্যাল বায়োলজির (আইআইসিবি) সঙ্গে যৌথ ভাবে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের ইমিউনো হেমাটোলজি অ্যান্ড ব্লাড ট্রান্সফিউশন বিভাগে এমন গবেষণার প্রক্রিয়া শুরু করেছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর।
এ বার ক্লিনিমেড লাইফ সায়েন্সেস, সল্টলেক আমরি, অ্যাপোলো গ্লেনেগ্লস এবং টাটা মেমোরিয়াল সেন্টারে এই গবেষণা চালানোর আবেদন মঞ্জুর করেছে আইসিএমআর। ক্লিনিমেড লাইফের ডিরেক্টর প্রিয়ব্রত দাস সোমবার জানান, মানবদেহে করোনাভাইরাসের প্রবেশপথ বন্ধ করা যায় কি না, শহরের এক ক্যানসার হাসপাতালের সঙ্গে সেই গবেষণা চলছে। করোনার ওষুধের ‘ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের’ অনুমতি চেয়েও ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়ার কাছে আবেদন করা হয়েছে বলে জানান ওই সংস্থার বিজনেস ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার স্নেহেন্দু কোনার।
আরও পড়ুন: মেডিক্যালের কোভিড বেড ৫০০ থেকে বেড়ে ১০০০ হল
কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের আইএইচবিটি-র বিভাগীয় প্রধান প্রসূন ভট্টাচার্য জানান, রাজ্যের প্রকল্পে কাউন্সিল ফর সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চের (সিএসআইআর) অভিভাবকত্বে আইআইসিবি-র সঙ্গে যৌথ গবেষণা চলছে। প্রয়োজনীয় কিছু সামগ্রী এসে পৌঁছলে চলতি মাসের শেষেই প্লাজ়মা প্রক্রিয়াকরণের কাজ শুরু হয়ে যাবে। গবেষণার প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর এবং প্রিন্সিপাল ইনভেস্টিগেটর তথা আইআইসিবি-র ইমিউনোলজিস্ট দীপ্যমান গঙ্গোপাধ্যায় জানান, তাঁরা ৪০ জন রোগীর উপরে প্লাজ়মা থেরাপি প্রয়োগ করে কী ফল মেলে, তা দেখতে চাইছেন। গ্রহীতার ইমিউন সিস্টেমের কোষের সংখ্যা, তাদের কর্মক্ষমতা, দেহে জৈব রাসায়নিকের পরিমাণ দেখার পাশাপাশি ভাইরাসের সিকুয়েন্স করা হবে। ‘‘হয়তো দেখা গেল, প্লাজ়মা থেরাপি সকলের ক্ষেত্রে কাজ করছে না। সেটা কেন হল, তা বুঝতে পরীক্ষা করা হবে,’’ বলেন তিনি। খরচ দেবে সিএসআইআর।
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)