Coronavirus in West Bengal

প্রশাসনের সতর্কবার্তাই সার, করোনাবিধির তোয়াক্কা না করে ধূপগুড়ির বাজারে অসংখ্য মানুষের ভিড়

সরকারি নিষেধাজ্ঞা মেনে সুপারমার্কেটের কাপড়ের দোকান বন্ধ থাকলেও সব থেকে বেশি মানুষের ভিড় হচ্ছে সেখানকার বাজারে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ০৪ মে ২০২১ ১৭:৩৫
Share:

নির্দিষ্ট কিছু দোকান ছাড়া সমস্তটাই বন্ধ রাখার নির্দেশিকা সত্ত্বেও ধূপগুড়ি সুপারমার্কেটে অগণিত মানুষের ভিড় হচ্ছে। —নিজস্ব চিত্র।

সরকারি বিধিনিষেধ, সতর্কবার্তাই সার। আদতে করোনাবিধির পালনের কোনও ছবিই দেখা যাচ্ছে না ধূপগুড়ি সুপারমার্কেটে। সেখানে প্রতিদিনই সকাল থেকে অসংখ্য মানুষের ভিড় উপচে পড়ছে। বাংলার নানা প্রান্ত থেকে তো বটেই, পার্শ্ববর্তী রাজ্য থেকেও ব্যবসায়ীরা ভিড় করছেন এই মার্কেটে। এর জেরে ধূপগুড়িতে সংক্রমিতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কায় শহরবাসীরা। এ নিয়ে পুলিশ-প্রশাসনের হুঁশ নেই বলেও অভিযোগ উঠছে।

Advertisement

করোনার সংক্রমণ রুখতে গত শুক্রবার থেকে রাজ্যে কার্যত লকডাউনের ঘোষণা করেছে সরকার। ওষুধ বা আনাজপত্র, মাছ-মাংসের দোকান বা জরুরি পরিষেবা ছাড়া বন্ধ রাখা হয়েছে বাকি সমস্ত কিছু। তবে বাজারে ভিড় না করার জন্য বা নির্দিষ্ট কিছু দোকান ছাড়া সমস্তটাই বন্ধ রাখার নির্দেশিকা সত্ত্বেও ধূপগুড়ি সুপারমার্কেটে অগণিত মানুষের ভিড় হচ্ছে। এতে রীতিমতো ক্ষুব্ধ শহরের ঘরবন্দি মানুষজন থেকে শুরু করে ব্যবসায়ীরা। সরকারি নিষেধাজ্ঞা মেনে সুপারমার্কেটের কাপড়ের দোকান বন্ধ থাকলেও সব থেকে বেশি মানুষের ভিড় হচ্ছে সেখানকার বাজারে। অভিযোগ, বাজার করতে এসে ভিড়ের মধ্যে মানুষজন করোনাবিধি লঙ্ঘন করলেও তা রুখতে প্রশাসনিক তৎপরতা নেই। এমনকি, এ নিয়ে পুলিশি নজরদারি বা পুরসভার তরফেও কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি।

যদিও প্রশাসনিক ঢিলেমির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ধূপগুড়ি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান রাজেশকুমার সিংহ। তিনি বলেন, “রাজ্যে নির্বাচন পর্ব সবে শেষ হয়েছে। এর আগে আধিকারিকরা ভোটের কাজে ব্যস্ত ছিলেন। তবে বুধবার থেকে পুলিশ আধিকারিকদের নিয়ে রাস্তায় নামা হবে। করোনাবিধি লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে পুলিশ। সুপারমার্কেটে ভিড় নিয়েও ব্যবসায়ী সমিতির সঙ্গে আলোচনা করা হবে।”

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement