করোনা রোগীদের মধ্যে সুস্থতার হার কমে হয়েছে ৬৪.৯৩ শতাংশ। —ফাইল চিত্র।
কন্টেনমেন্ট জোনে কড়া লকডাউনের প্রথম দিনেই করোনায় দৈনিক আক্রান্ত এবং মৃত্যুর সংখ্যায় রেকর্ড গড়ল রাজ্য। গত কয়েক দিন ধরেই দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা আটশোর মধ্যে ঘোরাফেরা করছিল। বুধবার সেই সংখ্যাটা ছিল ৯৮৬। এ দিন সেই রেকর্ডও ভেঙে গেল। বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য দফতরের প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী, রাজ্যে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৮৮ জন। মারা গিয়েছেন ২৭ জন। এর পাশাপাশি, সুস্থ হয়েছেন ৫৩৫ জন সংক্রমিত। সুস্থতার হার কিছুটা কমে হয়েছে ৬৪.৯৩ শতাংশ।
স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে খবর, রাজ্যে এখনও পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২৫ হাজার ৯১১ জন। তার মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১৬ হাজার ৮২৬ জন। গোটা রাজ্যে করোনায় মৃতের সংখ্যা ৮৫৪। রাজ্যের প্রায় ২৬ হাজার আক্রান্তের মধ্যে এই মুহূর্তে ৮ হাজার ২৩১ জন সক্রিয় করোনা রোগীর চিকিৎসা চলছে। এ দিন থেকেই রাজ্য জুড়ে কন্টেনমেন জোনে লকডাউন কার্যকর করতে আরও কঠোর হয়েছে পুলিশ-প্রশাসন। কন্টেনমেন্ট জোনের রাস্তা ব্যারিকেড দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া। মাস্ক না পরে বাইরে বার হলে বাড়ি ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া থেকে শুরু করে নিয়ন্ত্রণবিধি কার্যকর করতে মাইকে প্রচারের কাজেও দেখা গিয়েছে পুলিশকর্মীদের। একমাত্র নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দোকান ও জরুরি পরিষেবা ছাড়া বন্ধ রাখা হয়েছে দোকানপাট। বন্ধ কন্টেনমেন্ট এলাকায় থাকা অফিসকাছারিও। তবে কড়া পুলিশি নিয়ন্ত্রণ সত্ত্বেও উদ্বেগজনক কলকাতার পরিস্থিতি। কলকাতায় এখনও পর্যন্ত মোট আক্রান্ত ৮ হাজার ৩৬৮ জন। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ২১৩ জন কোভিড রোগীর সন্ধান মিলেছে। মারা গিয়েছেন ১৩ জন। এ নিয়ে শহরে মোট মৃত্যু হয়েছে ৪৫৭ জন আক্রান্তের।
আরও পড়ুন: মাস্ক না পরলেই বাড়ি, কন্টেনমেন্টে নিয়ন্ত্রণ কার্যকর করতে কড়া পুলিশ
কলকাতার উদ্বেগজনক করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তৎপরতা দেখা গিয়েছে। কন্টেনমেন জোনে বসেছে পুলিশি প্রহরা। রাস্তায় রাস্তায় টহল দিয়েছে পুলিশ। মাস্ক ছাড়া বাইরে বার হলে মানুষজনকে পুলিশি ধমকের মুখেও পড়তে হয়েছে। জটলা যাতে না হয়, সে দিকেও কড়া নজর ছিল কলকাতা পুলিশের। তা সত্ত্বেও শহরের করোনা-পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক।
আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন সংক্রমণ প্রায় ২৫ হাজার, সুস্থ প্রায় ২০ হাজার
এ রাজ্যে করোনা আক্রান্তের নিরিখে কলকাতার পরেই জায়গা করে নিয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। নতুন করে ওই জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ১২১ জন আক্রান্ত হয়েছেন। অন্য দিকে, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ওই একই সময়ে আক্রান্ত হয়েছে ৫৬ জন। হাওড়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যাটা ৪৭।