Coronavirus

স্বাস্থ্য পরিষেবায় আক্রান্তের কমতি নেই

শনিবার স্বাস্থ্য দফতরের প্রকাশিত বুলেটিনে  জানানো হয়েছে, রাজ্যে অ্যাক্টিভ করোনা-আক্রান্তের সংখ্যা ৪২৩। শুক্রবার যা ছিল ৩৬৫।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ এপ্রিল ২০২০ ০৫:১২
Share:

প্রতীকী ছবি।

সরকারি-বেসরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবায় করোনা-প্রভাব ঠেকাতে কোনও প্রতিরোধ কি কাজে আসছে না! শনিবারের তথ্য সে ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে অনেকের মত।

Advertisement

এ দিন আক্রান্তদের তালিকায় রয়েছেন ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের এক ইন্টার্ন, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নার্স, মিন্টো পার্কের বেসরকারি হাসপাতালের রাঁধুনি এবং স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিনের (এসটিএম) স্টোর ইনচার্জ। বস্তুত, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের পাশাপাশি এসটিএমে এখন করোনা-রেখা ঊর্ধ্বমুখী। সম্প্রতি সেখানে জেবিসি ওয়ার্ডে এক মহিলা সাফাইকর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। সেখানকার এক চিকিৎসককে হোম কোয়রান্টিনে পাঠানো হয়েছিল। জেবিসি ওয়ার্ডের দু’জন রোগীও নজরদারির তালিকায়।

শনিবার স্বাস্থ্য দফতরের প্রকাশিত বুলেটিনে জানানো হয়েছে, রাজ্যে অ্যাক্টিভ করোনা-আক্রান্তের সংখ্যা ৪২৩। শুক্রবার যা ছিল ৩৬৫। ফলে এক দিনে অ্যাক্টিভ আক্রান্তে সংখ্যা ৩৮ বেড়েছে। করোনায় মৃত এবং অন্য কারণে করোনা-আক্রান্তের মৃত্যুর সংখ্যা এ দিনও জানানো হয়। তা একই রয়েছে। এ দিন বেলেঘাটা আইডি হাসপাতাল থেকে পাঁচ জন আক্রান্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

Advertisement

এ দিকে, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের একাংশের বক্তব্য, রাজ্য প্রশাসন চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষার উপরে গুরুত্ব দিলেও সূক্ষ্ম বিষয়গুলি নজর এড়িয়ে যাচ্ছে। যেমন, চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে আক্রান্ত অ্যাম্বুল্যান্স চালক গত ১১ এপ্রিল সিএনএমসি-র মেডিসিনের করোনা আক্রান্ত জুনিয়র চিকিৎসককে অন্য হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন। তবু তাঁকে কোয়রান্টিনে রাখা হয়নি। গত মঙ্গলবার জ্বর এলে তাঁকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করানো হয়। তত ক্ষণে ওই চালকের গাড়িতে এক চিকিৎসক-কর্তা, একাধিক চিকিৎসক যাতায়াত করে ফেলেছেন। সংস্পর্শ যোগে আরও দু’জন চালককে হোম কোয়রান্টিনে পাঠানো হয়েছে। সেই সব চালকের গাড়িতে হাসপাতালের চিকিৎসক-সওয়ারির সংখ্যা কম নয়। এসটিএমে আক্রান্ত স্টোর কিপার মাস্ক, স্যানিটাইজ়ার-সহ সামগ্রী বিতরণের দায়িত্বে ছিলেন। কিন্তু দু’ক্ষেত্রেই কত জনের নমুনা পরীক্ষা প্রয়োজন, তা রাত পর্যন্ত জানা যায়নি। ন্যাশনালে আক্রান্ত ইন্টার্ন আইডি-র সিসিইউয়ে এক করোনা আক্রান্তের সংস্পর্শে এসেছিলেন। আইডি-র সিসিইউয়ে আরও এক জনের দেহে করোনা ধরা পড়েছে।

আরও পড়ুন: প্লাজমা থেরাপি ব্যবহারে শরিক হচ্ছে কলকাতা মেডিক্যাল

আরও পড়ুন: ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে ছড়াচ্ছে সংক্রমণ

ব্যতিক্রম নয় বেসরকারি হাসপাতালের ছবিও। মল্লিকবাজারে স্নায়ুরোগ হাসপাতালে এক পদস্থ শীর্ষ কর্তার পরে এ দিন সেখানে এক রোগী এবং প্রশাসনিক আধিকারিকের আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলেছে। তাঁরা কী ভাবে আক্রান্ত হলেন, কত জনের পরীক্ষা হবে, ক’জনকে কোয়রান্টিনে পাঠানো হবে, তা নিয়ে কিছু জানাননি কর্তৃপক্ষ। তবে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য পরিষেবা সচল থাকবে বলে জানানো হয়েছে।

(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement