হাজারদুয়ারি দরজায় আপাতত তালা ঝুলল। —নিজস্ব চিত্র।
দেশ জুড়ে করোনা সংক্রমণ রুখতে বন্ধ করা হয়েছে বিভিন্ন দর্শণীয় স্থান। এই তালিকায় রয়েছে মুর্শিদাবাদ জেলার হাজারদুয়ারি প্যালেসও। শুক্রবার ভারতীয় পুরাতাত্ত্বিক সর্বেক্ষণ (আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া বা এএসআই) কর্তৃপক্ষ তাঁদের অধীনস্থ দেশের সব পর্যটনকেন্দ্র আগামী ১৫ মে পর্যন্ত বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ফলে শুক্রবার থেকেই ফের বন্ধ হয়ে গেল হাজারদুয়ারির দরজা।
গত বছরের ২৫ মার্চ দেশ জুড়ে লকডাউনের আগে থেকেই নবাবনগরী লালবাগের হাজারদুয়ারি প্যালেস এবং মিউজিয়ামে পর্যটক ঢোকা নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। তবে দেশ জুড়ে ধীরে ধীরে লকডাউনের ঘেরাটোপ শিথিল হতে শুরু করলে ফের হাজারদুয়ারির দরজা খুলে দেওয়া হয়। তবে এ রাজ্যে ভোটের মরসুমে ফের করোনার দৈনিক সংক্রমণে তড়িৎ গতিতে বৃদ্ধি হচ্ছে। বৃহস্পতিবার রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যাএকলাফে বেড়ে প্রায় ৭ হাজারের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে। ওই সময়ের মধ্যে ৬ হাজার ৭৬৯ জন নতুন করে রাজ্যে আক্রান্ত হয়েছেন। যা এখনও পর্যন্ত এক দিনে সবচেয়ে বেশি। অন্য দিকে, শুক্রবার সকালে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দৈনিক আক্রান্ত ২ লক্ষ ১৭ হাজার পেরিয়ে গিয়েছে। দৈনিক আক্রান্তের নিরিখে সেটিও নয়া নজির। ফলে শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গেই নয়, মহারাষ্ট্র, কর্নাটক, গুজরাতের মতো দেশের বিভিন্ন রাজ্যেও যে সংক্রমণ হু হু করে ছড়াচ্ছে, তা স্পষ্ট। এই আবহে শুক্রবার থেকে কলকাতায় ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল, ভারতীয় জাদুঘর, বিড়লা তারামণ্ডল বা সায়েন্স সিটির মতো দর্শনীয় স্থান বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রক। এ রাজ্যের পাশাপাশি দেশ জুড়ে এএসআই-এর অধীনস্থ সমস্ত সংগ্রহালয় এবং স্মৃতিসৌধও বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
কেন্দ্রের নির্দেশিকা অনুযায়ী, এএসআই অধীনস্থ ৩৬৯৩টি সৌধ এবং ৫০টি মিউজিয়াম রয়েছে। এর মধ্যে তাজমহল, পুরীর জগন্নাথ মন্দির, সোমনাথ মন্দির-সহ একাধিক স্থান রয়েছে, যা আপাতত বন্ধ থাকবে। শুক্রবার টুইট করে এই নির্দেশিকা সম্পর্কে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ পটেল। শুক্রবার থেকেই এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হচ্ছে।