প্রতীকী ছবি।
পরিযায়ী শ্রমিকদের ‘ইনস্টিটিউশনাল কোয়রান্টিন’ বা প্রাতিষ্ঠানিক নিভৃতবাসের মেয়াদ কমাল রাজ্য। সরকারের সিদ্ধান্ত, রাজ্যে ফেরা পরিযায়ী শ্রমিকদের ১৪ দিনের বদলে সাত দিন প্রাতিষ্ঠানিক নিভৃতবাসে থাকলেই চলবে। পরের সাত দিন তাঁদের থাকতে হবে গৃহ-নিভৃতবাসে।
সরকারের আগের সিদ্ধান্ত ছিল, মহারাষ্ট্র, দিল্লি, গুজরাত, মধ্যপ্রদেশ ও তামিলনাড়ু থেকে ফেরা পরিযায়ী শ্রমিকদের ১৪ দিন প্রাতিষ্ঠানিক নিভৃতবাসে রাখা হবে। সম্প্রতি একটি সংশোধনীতে জানানো হয়েছে, ওই সব রাজ্য থেকে ফিরলেও প্রাতিষ্ঠানিক নিভৃতবাসে সাত দিনের বেশি থাকতে হবে না। স্বাস্থ্যপরীক্ষার পরে ফের সাত দিন গৃহ-নিভৃতবাসে থাকতে হবে। প্রশাসনের একাংশ এই সিদ্ধান্তের কারণ হিসেব কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় ভল্লার একটি চিঠির কথা বলছেন। চিঠিতে ভল্লা লিখেছিলেন, প্রাতিষ্ঠানিক নিভৃতবাসের বিধি সংশোধন করে সাত দিন করা হয়েছে। স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে পরিযায়ীকে সাত দিন গৃহ-নিভৃতবাসে পাঠাতে হবে।
রাজ্য সরকার জানাচ্ছে, ইতিমধ্যেই অন্তত সাড়ে ন’লক্ষ মানুষ বাংলায় ফিরেছেন। সরকারের অভিযোগ, অপরিকল্পিত ভাবে ট্রেন চালানোর জন্য প্রশাসনের পক্ষে প্রত্যেকের জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা করা ক্রমশ কঠিন হয়ে উঠছে। একাধিক জেলা প্রশাসনের দাবি, এই পরিস্থিতিতে প্রাতিষ্ঠানিক নিভৃতবাসের চাপ কিছুটা লাঘব হওয়ায় গোটা ব্যবস্থাপনায় সুবিধাই হবে। সংশ্লিষ্ট মহলের যুক্তি, ‘সন্ধানে’ অ্যাপে প্রত্যেকের নাম-ঠিকানা থাকায় নজরদারিতে সুবিধা হচ্ছে। ফলে গৃহ-নিভৃতবাসের অনুশাসন কঠোর ভাবে মানাতে অসুবিধা হবে না।
জেলা প্রশাসনের কেউ কেউ জানান, বিপুল সংখ্যক পরিযায়ীর জন্য প্রচুর প্রাতিষ্ঠানিক নিভৃতবাস কেন্দ্র চালাতে বিপুল খরচ করতে হচ্ছে। সরকারি হিসেবে রোজ খরচের পরিমাণ প্রায় তিন কোটি টাকা।