টিকাকরণ কেন্দ্রে উপচে পড়া ভিড়। —নিজস্ব চিত্র।
করোনার টিকা অমিল হওয়ার আশঙ্কায় চরম বিশৃঙ্খলা দেখা দিল চন্দ্রকোনার গ্রামীণ হাসপাতালের টিকাকরণ কেন্দ্রে। রবিবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ওই হাসপাতালে ভোর থেকে লাইন দিয়েও টিকার কুপন হাতে না পাওয়ার অভিযোগ করেন অনেকে। টিকাকরণ কেন্দ্রে এক সময় ভিড় উপচে পড়তেও দেখা যায়। ওই কেন্দ্রের কর্মীদের সঙ্গে বচসাও শুরু হয়। শেষমেশ পরিস্থিতি সামাল দিতে হস্তক্ষেপ করতে হয় পুলিশকে।
রবিবার ভোর থেকে চন্দ্রকোনা ২ ব্লকের চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালে টিকাকরণের প্রক্রিয়া স্বাভাবিক গতিতেই চলছিল। ভোর থেকেই হাসপাতালের বাইরে ইট পেতে লাইন দেন ৪৫ বছর ও তার ঊর্ধ্বে মহিলা-পুরুষেরা। তবে শীঘ্রই ছন্দপতন হয়। এক সময় হাসপাতালে বাইরে একসঙ্গে শতাধিক মানুষের ভিড় জমে যায়।
স্থানীয় সূত্রে খবর, হাসপাতালে মজুত টিকার তুলনায় বহু মানুষের ভিড় জমে যাওয়ায় টিকাকরণের কুপন নেওয়ার জন্য হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। এতেই চরম বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। অনেকেই অভিযোগ করতে থাকেন, ৪-৫ দিন ধরে ঘুরেও টিকা পাওয়া যাচ্ছে না। এর উপরে রবিবার সকাল সকাল পৌঁছেও কুপন পাননি বলেও অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে হাসপাতালের কর্মীদের সঙ্গে বচসা শুরু হয়ে যায় টিকা নিতে ইচ্ছুকদের অনেকের। দিলীপ লৌকি নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “ভোর ৪টে থেকে টিকার লাইনে দাঁড়িয়েছিলাম। সকলকে কুপন দেওয়া হচ্ছিল। হঠাৎ হাসপাতালের এক কর্মী এসে বলেন, টিকার কুপন দেওয়া যাবে না। এই বলে আমাকে তাড়িয়ে দেন। আমাকে কুপন দেননি।”
রবিবার টিকার কুপন নিয়ে চন্দ্রকোনার ওই কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলার খবর পেয়ে চন্দ্রকোনা থানার পুলিশ এসে পৌঁছয়। এর পর পলিশকর্মীদের উপস্থিতিতে টিকা নেওয়ার দীর্ঘ লাইন সামলানো হয়। দীর্ঘ লাইনে উপস্থিত সকলকে এক এক করে কুপন দেওয়াও শুরু করা হয়।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত নিয়ম অনুযায়ী যা টিকার ডোজ মজুত রয়েছে, তা সঠিক ভাবে বণ্টন করা হচ্ছে। তবে টিকার ডোজের তুলনায় একসঙ্গে বহু মানুষ উপস্থিত হয়ে পড়ায় এই বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি বলে হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে।