ফাইল চিত্র।
রাজ্যের নতুন শিক্ষামন্ত্রী হয়ে ব্রাত্য বসু শুক্রবার প্রথম রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্যদের মুখোমুখি হলেন। বৈঠক হল অনলাইনে। অতিমারি পরিস্থিতিতে ফি কমানো বা মকুব, অনলাইন ক্লাস, পরীক্ষা ও ফলপ্রকাশ, স্ট্যাটিউট বা বিধি এবং ছাত্র সংসদের নির্বাচন-সহ আটটি বিষয়ে সপ্তাহখানেকের মধ্যে উপাচার্যদের মতামত চেয়েছেন তিনি।
শিক্ষা শিবির সূত্রের খবর, এর পরে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে আলাদা ভাবে বৈঠকের ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন ব্রাত্য। শিক্ষা মহলের একাংশের মতে, এ দিন যে-আটটি বিষয় নিয়ে উপাচার্যদের অভিমত চাওয়া হয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম ফি কমানো বা মকুব। করোনার কারণে গত বছর কলেজগুলিতে প্রথম বর্ষের ভর্তির জন্য আবেদন ফি মকুব করা হয়। ভর্তির ক্ষেত্রে কলেজগুলি যাতে ফি না-বাড়ায়, সেই আবেদনও করা হয়। এ বছরেও অতিমারির দাপট রয়েছে। সে-ক্ষেত্রে কী করা যায়, তা নিয়ে উপাচার্যদের মতামত জানাতে বলা হয়েছে। গত বছর বিএড বিশ্ববিদ্যালয় প্রথমেই ফি মকুব করেছিল।
রাজ্যের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য অভিন্ন স্ট্যাটিউট বা বিধির প্রসঙ্গও ওঠে এ দিনের বৈঠকে। তৃণমূল প্রথম বার সরকার গড়ার পরে রাজ্যের শিক্ষা আইন পরিবর্তন করা হয়েছিল। ফলে তখন থেকেই রাজ্যের পুরনো বিশ্ববিদ্যালয়ের স্ট্যাটিউট বাতিল হয়ে যায়। অভিযোগ, এখনও নতুন বিধি তৈরি হয়নি। অভিন্ন বিধি তৈরিতে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য সরকার। বর্তমানে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস সেই বিধির খসড়া শিক্ষা দফতরে জমা দিয়েছিলেন। তবে সেই বিষয়ে আর কোনও আলোচনা হয়নি। এই নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলি কী ভাবছে, তা জানাতে বলেছেন শিক্ষামন্ত্রী।
তৃণমূল সরকারের আমলে ছাত্র সংসদের নির্বাচন অনিয়মিত বলে বার বার অভিযোগ উঠেছে। যে-সব বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে কলেজ নেই অর্থাৎ প্রেসিডেন্সি, যাদবপুর, রবীন্দ্রভারতী এবং ডায়মন্ড হারবার মহিলা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদের শেষ নির্বাচন হয়েছে করোনার আগে। বাকি কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে হয়নি। পার্থ চট্টোপাধ্যায় শিক্ষামন্ত্রী থাকাকালীন শিল্পের সঙ্গে শিক্ষার মেলবন্ধনের উপরে জোর দেওয়া হয়েছিল। যাতে পঠনপাঠনের শেষে চাকরির সুযোগ তৈরি হয়। শিল্প মহল কী চাইছে, সেই অনুযায়ী পাঠ্যক্রম তৈরি করার কথাও উঠেছিল। এই বিষয়েও এ দিন উপাচার্যদের মতামত চেয়েছেন ব্রাত্যবাবু। অতিমারির মধ্যে অনলাইন ক্লাস, পরীক্ষার ফলপ্রকাশ, অতিথি এবং চুক্তিতে নিযুক্ত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অবস্থা, বিষয়ভিত্তিক আসন-সংখ্যা, বিশ্ববিদ্যালয়ের অনলাইনে ছাত্রছাত্রী ভর্তির পোর্টাল সম্পর্কেও মতামত চাওয়া হয়েছে।