রাজ্য পুলিশের নিরাপত্তা অধিকর্তা বিবেক সহায়। ছবি সংগৃহীত।
কোভিডে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন রাজ্য পুলিশের নিরাপত্তা অধিকর্তা (ডিরেক্টর সিকিউরিটিজ) বিবেক সহায়। বৃহস্পতিবার বিকালে এডিজি পদমর্যাদার এই পুলিশ কর্তার কোভিড পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ হওয়ার পর তাঁকে বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
মাস খানেক আগে রাজ্য পুলিশের নিরাপত্তা অধিকর্তার পদে নিযুক্ত হন এই আধিকারিক। মুখ্যমন্ত্রী-সহ রাজ্যের ভিভিআইপি-দের নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন তিনি।
নবান্ন সূত্রে খবর, মঙ্গলবার পর্যন্ত তাঁর শরীরে কোনও অসুস্থতা বা কোভিডের কোনও উপসর্গ দেখা যায়নি। তবে বুধবার রুটিন শারীরিক পরীক্ষার সময় চিকিৎসকদের সন্দেহ হয় এবং তাঁকে কোভিডের ‘আরটিপিসিআর টেস্ট’ করার পরামর্শ দেওয়া হয়। সেই রিপোর্ট পজিটিভ আসার পরেই ওই পুলিশকর্তা তাঁর পরিবারের সংক্রমণ রুখতে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন বলে সূত্রের খবর। তাঁর করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবরে প্রশাসনে উদ্বেগ ছড়িয়েছে। কর্তব্যের খাতিরে বিবেককে বিভিন্ন শীর্ষ অফিসার ও রাজনীতিকদের খুবই কাছাকাছি থাকতে হয়। ফলে তাঁর থেকে অন্য কেউ সংক্রমিত হতে পারেন কি না, সেই সম্ভাবনাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে সূত্রের খবর। ঘটনাচক্রে, বুধবার পর্যন্তও বিবেক রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নিরাপত্তার দায়িত্ব ছিলেন। তবে নবান্নের কোভিড মনিটরিং সেলের এক কর্তার কথায়, ‘‘বিবেক একাধিক অনুষ্ঠানে হাজির থাকলেও ভিভিআইপি-দের থেকে অনেকটাই দূরে ছিলেন।” তবে তার পরেও পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে নবান্ন।
আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে আক্রান্ত সবচেয়ে বেশি, কমল দৈনিক মৃতের সংখ্যা
বিবেকের আগে কলকাতা এবং রাজ্য পুলিশে কর্মরত একাধিক আইপিএস কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন। কলকাতা পুলিশের কমিশনার অনুজ শর্মা থেকে শুরু করে গোয়েন্দা প্রধান মুরলিধর শর্মা, যুগ্ম কমিশনার (সদর) শুভঙ্কর সিনহা বিশ্বাসও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্ত হয়েছেন রাজ্য পুলিশেরও একাধিক কর্তা। তবে হাসপাতাল সূত্রে খবর, বিবেকের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল।
আরও পড়ুন: মণীশ-হত্যায় ফাঁস চ্যাট, অর্জুনের ‘চর’ খুঁজতে ডামাডোল পুলিশের অন্দরে
নবান্ন সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত রাজ্যের প্রায় ৭ হাজার পুলিশ কর্মী কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন। তবে তাঁদের অধিকাংশই সুস্থ হয়ে আবার কাজে যোগ দিয়েছেন। কলকাতা পুলিশের প্রায় ৩ হাজার কর্মী আক্রান্ত হয়েছেন গত ৭ মাসে। মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের।
(জরুরি ঘোষণা: কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের জন্য কয়েকটি বিশেষ হেল্পলাইন চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই হেল্পলাইন নম্বরগুলিতে ফোন করলে অ্যাম্বুল্যান্স বা টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত পরিষেবা নিয়ে সহায়তা মিলবে। পাশাপাশি থাকছে একটি সার্বিক হেল্পলাইন নম্বরও
• সার্বিক হেল্পলাইন নম্বর: ১৮০০ ৩১৩ ৪৪৪ ২২২
• টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-২৩৫৭৬০০১
• কোভিড-১৯ আক্রান্তদের অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-৪০৯০২৯২৯)