প্রতীকী ছবি।
রাজ্যে ফের করোনা ভাইরাসের ডেল্টা প্লাস প্রজাতির খোঁজ মিলল। অগস্টে উত্তরবঙ্গের তিন করোনা রোগীর নমুনায় ওই ভেরিয়েন্ট পাওয়া গিয়েছিল। এ বার তা মিলেছে দক্ষিণবঙ্গে, হুগলিতে। শুক্রবার সেই খবর প্রকাশ্যে এসেছে। ওই রোগী সুস্থ আছেন বলে জানাচ্ছেন স্বাস্থ্য শিবিরের আধিকারিকেরা।
পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্যকর্তারা জানান, অন্য রাজ্যে যে-ডেল্টা প্লাসের খোঁজ মিলেছে, বাংলায় পাওয়া স্ট্রেনগুলি তেমন নয়। সেটি ডেল্টা প্রজাতির একটি নতুন মিউটেশন। স্বাস্থ্য শিবিরের বক্তব্য, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) ডেল্টার নির্দিষ্ট একটি মিউটেশনকেই ‘ডেল্টা প্লাস’ বলছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক ডেল্টা ভাইরাসের যে-কোনও মিউটেশনকেই ডেল্টা প্লাস বলে ধরে নিচ্ছে। সেই জন্যই রাজ্যে খোঁজ পাওয়া ডেল্টা ভাইরাসের নতুন প্রজাতিকে ডেল্টা প্লাস বলা হচ্ছে।
স্বাস্থ্য সূত্রের খবর, হুগলির করোনা আক্রান্তদের নমুনা ২ অগস্ট কল্যাণীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োমেডিক্যাল জিনোমিক্স বা এনআইবিএমজি-তে পাঠানো হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে এক জনের নমুনায় ডেল্টা ভাইরাসের নতুন মিউটেশনের (এওয়াই.৪) খোঁজ মিলেছে। অগস্টে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক একটি রিপোর্টে জানিয়েছিল, অন্যান্য রাজ্যের মতো বঙ্গে তিনটি ডেল্টা প্লাস ভেরিয়েন্ট মিলেছে। রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের কাছে বিষয়টি নিয়ে তখন তেমন কোনও খবর ছিল না। পরে দফতরের তরফে জানানো হয়, ১৭ জুলাই প্রথম একটি নমুনায় ডেল্টার নতুন একটি মিউটেশনের (এওয়াই.৩) খোঁজ মিলেছিল। সেটিকেই ডেল্টা প্লাস বলা হয়েছিল।
রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী শুক্রবার বলেন, ‘‘নতুন প্রজাতিটিও ডেল্টা ভাইরাসের মতো। তবে রাজ্যের অন্যত্র তা ছড়িয়ে পড়েছে কিংবা আরও খোঁজ মিলছে, তেমনটা একেবারেই নয়।’’ এ দিন হিডকোর এক অনুষ্ঠানে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন ‘‘ডেল্টা প্লাস নিশ্চিত ভাবে ভারতে এসেছে। এটা অস্বীকার করার জায়গা নেই। বিমান চলছে। ট্রেন চলছে। ১০০ শতাংশ ট্রান্সপোর্টেশন এড়ানো সম্ভব নয়। এর থেকেই সংক্রমণ বাড়ে। তাই বাঁচতে হলে করোনা বিধি মানতেই হবে।’’