জগৎবল্লভপুরের বোহারিয়া শীতলাতলা গ্রামে কোভিডে আক্রান্ত এক বৃদ্ধের দেহ পড়ে রইল। —নিজস্ব চিত্র।
ফের অমানবিক ঘটনার সাক্ষী হাওড়া। মৃত্যুর প্রায় ১১ ঘণ্টার পরেও বাড়িতেই পড়ে রইল কোভিডে আক্রান্ত এক বৃদ্ধের দেহ। শুক্রবার এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে হাওড়ার জগৎবল্লভপুরের বোহারিয়া শীতলাতলা গ্রামে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সৎকারের আশ্বাস দিলেও তা কার্যকর করতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কেটে গেল। অবশেষে শুক্রবার সন্ধ্যায় বৃদ্ধের দেহ সৎকার করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে খবর,শুক্রবার সকাল সওয়া ৮টা নাগাদ নিজের বাড়িতে মারা যান দিলীপ সামন্ত (৬৬)। তার পর থেকে ওই বৃদ্ধের দেহ সৎকারে রীতিমতো নাকাল হতে হয় তাঁর পরিবারের সদস্যদের।
পরিবার জানিয়েছে, গত এপ্রিল মাসের শেষ দিক থেকে জ্বর এবং শ্বাসকষ্টের সমস্যায় ভুগছিলেন দিলীপ। ২৯ এপ্রিল তাঁর কোভিড টেস্টের রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এর পর চিকিৎসকের পরামর্শ মতো বাড়িতেই তাঁর করোনার চিকিৎসা চলছিল। শুক্রবার সকালে তিনি মারা যান। পরিবারের লোকজনের অভিযোগ, জগৎবল্লভপুর থানা, স্থানীয় পঞ্চায়েত এবং বিডিও অফিসে খবর দিলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে দেহ সৎকারের কোনও ব্যবস্থা করা হয়নি। মৃতের ছেলে সুকান্ত সামন্ত বলেন, “বাবার মৃত্যুর পর স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে খবর দেওয়া হয়েছিল। থানাতেও জানানো হয়। কিন্তু দেহ সৎকারের জন্য় কোনও পক্ষই উদ্যোগী হয়নি।”
দিলীপের দেহ থেকে সংক্রমণ ছড়াতে পারে বলে রীতিমতো আতঙ্কিত হয়ে পড়েন তাঁর বাড়ির লোকজন এবং প্রতিবেশীরা। অবশেষে শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ জগৎবল্লভপুর থানার উদ্যোগে দেহ সৎকার করা হয়। জগৎবল্লভপুরে বিডিও মনতোষ রায় বলেন, “পুলিশের সহযোগিতায় দেহ সৎকারের ব্যবস্থা করা হয়। প্রসঙ্গত, এর আগে হাওড়ার জগাছা এবং ব্যাঁটরা থানা এলাকায় কার্যত একই রকম ঘটনা ঘটেছিল।