এক নজরে রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
গত ২৭ এপ্রিলের পর, রাজ্যে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে কম হয়েছিল মঙ্গলবার। বুধবার তা আরও কমে সাড়ে ১৬ হাজারেরও নীচে নেমে গেল। গত কয়েক ধরেই দৈনিক আক্রান্তের থেকে দৈনিক সুস্থের সংখ্যা বেশি। গত ২৪ ঘণ্টাতেও সেই প্রবণতা। দৈনিক সুস্থের সংখ্যাটা ১৮ হাজারের বেশি। তবে দৈনিক মৃতের সংখ্যা দেড়শোর উপরেই রইল।
মঙ্গলবার রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৬ হাজার ২২৫ জন। এর মধ্যে উত্তর ২৪ পরগনা (৩,৪২৭) এবং কলকাতা (২,৩৭৮)-য় সংক্রমণে সর্বোচ্চ। দক্ষিণ ২৪ পরগনা (১,১৫৪), হাওড়া (১,১৫১), নদিয়া (১,১০১), এবং হুগলি (১,০৩৬)-তে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজারের বেশি। এ ছাড়া বুধবার পাঁচশোর বেশি আক্রান্ত ধরা পড়েছে দার্জিলিং (৮৬১), পশ্চিম বর্ধমান (৭১৪), পূর্ব মেদিনীপুর (৫৭৭), জলপাইগুড়ি (৫৪৯) এবং পশ্চিম মেদিনীপুর (৫১৫) জেলায়। রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এখন ১৩ লক্ষ ১৮ হাজার ২০৩ জন।
রাজ্যে বুধবার হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ১৯ হাজার ৭১ জন। তার জেরে রাজ্যে মোট সুস্থের সংখ্যা এখন ১১ লক্ষ ৭৯ হাজার ৯৯৯ জন। রাজ্যে এই মুহূর্তে সক্রিয় করোনা রোগী রয়েছেন ১ লক্ষ ২৩ হাজার ৩৭৭ জন। যা মঙ্গলবারের থেকে ২ হাজার ৯৯৯ জন কম।
বুধবার রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ১৫৩ জনের। মৃত্যুতেও শীর্ষে উত্তর ২৪ পরগনা (৩৭) এবং কলকাতা (৩০)। এ ছাড়া দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ১৫ জন এবং হাওড়ায় ১১ জনের মৃ্ত্যু হয়েছে। এই নিয়ে রাজ্যে করোনায় প্রাণ হারালেন ১৪ হাজার ৮২৭ জন।
বুধবার রাজ্যে কোভিড পরীক্ষা হয়েছে ৬৩ হাজার ৯৭৬ জনের। এর মধ্যে করোনা ধরা পড়েছে ১৬ হাজার ২২৫ জনের। দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা কমতেই গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণের হারও কিছুটা কমে হয়েছে ২৬.৫৮ শতাংশ। মোট সংক্রমণ অবশ্য বুধবার হয়েছে ১০.৮৭ শতাংশ।
সংক্রমণ রুখতে টিকাকরণ অন্যতম উপায় বলে মনে করেন চিকিৎসকেরা। স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ১ লক্ষ ৫৩ হাজার ৯০ জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে।