গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
রাজ্যে দৈনিক আক্রান্ত গত মঙ্গলবারই চারশোর গণ্ডি পার করেছিল। বুধে তা সামান্য কমে হয়েছিল ২৯৫। বৃহস্পতিবার তা এক লাফে পৌঁছে গেল সাড়ে সাতশোর কাছে। রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণের হারও ঊর্ধ্বমুখীই রয়েছে। গত সপ্তাহ থেকে তা ধাপে ধাপে বেড়ে পৌঁছে গেল সাড়ে সাত শতাংশে। যা নিয়ে উদ্বিগ্ন রাজ্যের স্বাস্থ্যকর্তারাও। প্রশাসনের তরফে বার বার কোভিডবিধি অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে কোনও কোভিড রোগীরই মৃত্যু হয়নি।
গত ১০ জুন থেকে রাজ্যে রাজ্যে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। বৃহস্পতিবার রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর প্রকাশিত কোভিড বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৭৪৫ জন। এখনও পর্যন্ত কোভিডে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ২০ লক্ষ ২৩ হাজার ৫৮৭ জন। রাজ্যে নতুন করে যত সংক্রমিত হয়েছেন, তার মধ্যে শুধু কলকাতাতেই ৩৩৯ জন। পিছিয়ে নেই উত্তর ২৪ পরগনায়। ওই জেলায় আক্রান্ত হয়েছেন ২৩৮ জন। তবে রাজ্যের বাকি জেলাগুলিতে দৈনিক আক্রান্ত একশোর নীচেই রয়েছে। তার মধ্যে এগিয়ে কলকাতা সংলগ্ন দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া ও হুগলি।
রাজ্যে এখনও পর্যন্ত কোভিডে মৃত্যু হয়েছে ২১ হাজার ২১২ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে কোভিড পরীক্ষা হয়েছে ১০ হাজার ২০৫ জনের। দৈনিক সংক্রমণের হার বেড়ে হল ৭.৩০ শতাংশ। রাজ্যে বর্তমানে কোভিডে আক্রান্তের সংখ্যাও বেড়ে ৩ হাজার ২০।
(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। চলন্ত গড় কী এবং কেন তা লেখার শেষে আলাদা করে বলা হয়েছে।)
(চলন্ত গড় বা মুভিং অ্যাভারেজ কী: একটি নির্দিষ্ট দিনে পাঁচ দিনের চলন্ত গড় হল— সেই দিনের সংখ্যা, তার আগের দু’দিনের সংখ্যা এবং তার পরের দু’দিনের সংখ্যার গড়। উদাহরণ হিসেবে— দৈনিক নতুন করোনা সংক্রমণের লেখচিত্রে ১৪ জুনের তথ্য দেখা যেতে পারে। সে দিনের মুভিং অ্যাভারেজ ছিল ১৬০। কিন্তু সে দিন নতুন আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা ছিল ১৩৫। তার আগের দু’দিন ছিল ১২৩ এবং ১৪৮। পরের দু’দিনের সংখ্যা ছিল ১৯৪ এবং ২২৯। ১২ থেকে ১৬ জুন, এই পাঁচ দিনের গড় হল ১৬০, যা ১৪ জুনের চলন্ত গড়। ঠিক একই ভাবে ১৫ জুনের চলন্ত গড় হল ১৩ থেকে ১৭ জুনের আক্রান্তের সংখ্যার গড়। পরিসংখ্যানবিদ্যায় দীর্ঘমেয়াদি গতিপথ সহজ ভাবে বোঝার জন্য এবং স্বল্পমেয়াদি বড় বিচ্যুতি এড়াতে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়)