ফাইল চিত্র।
গত শুক্রবার এবং শনিবার রাজ্যে দৈনিক আক্রান্ত তিনশোর কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল। রবিবার তা এক ধাক্কায় বেড়ে টপকালো সাড়ে তিনশোর গণ্ডি। দৈনিক সংক্রমণের হারও পৌঁছে গেল সাড়ে তিন শতাংশের কাছে। রাজ্যে বর্তমানে কোভিডে আক্রান্তের সংখ্যাও (অ্যাক্টিভ রোগী) বেড়ে দু’হাজারের গোড়ায় পৌঁছে গেল। তিন দিন পর রাজ্যে আবার এক জন কোভিড রোগীর মৃত্যু হল।
বিগত কয়েক দিন ধরেই রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণ বাড়ছে। মাস তিনেক পর গত ১০ জুন রাজ্যে দৈনিক আক্রান্ত একশো ছাড়িয়েছিল। তার পর থেকে তা ওঠা-নামার মধ্য দিয়ে তিনশোর কাছে পৌঁছে গিয়েছিল শুক্রবার। রবিবার রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর প্রকাশিত কোভিড বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ৩৬২ জন। এখনও পর্যন্ত কোভিডে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ২০ লক্ষ ২১ হাজার ৯১৭ জন।
শেষ ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে এক কোভিড রোগীর মৃত্যু হয়েছে। মোট মৃত্যু ২১ হাজার ২০৮ জনের। দৈনিক সংক্রমণের হার গত চার দিন ধরে ২ শতাংশের উপরে ছিল রাজ্যে। রবিবার তা বেড়ে হল ৩.৫ শতাংশ। শেষ ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে কোভিড পরীক্ষা হয়েছে ১০ হাজার ৩৩৭ জনের। রাজ্যে বর্তমানে অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা বেড়ে হল ১ হাজার ১৯৩।
(চলন্ত গড় বা মুভিং অ্যাভারেজ কী: একটি নির্দিষ্ট দিনে পাঁচ দিনের চলন্ত গড় হল— সেই দিনের সংখ্যা, তার আগের দু’দিনের সংখ্যা এবং তার পরের দু’দিনের সংখ্যার গড়। উদাহরণ হিসেবে— দৈনিক নতুন করোনা সংক্রমণের লেখচিত্রে ১৪ জুনের তথ্য দেখা যেতে পারে। সে দিনের মুভিং অ্যাভারেজ ছিল ১৬০। কিন্তু সে দিন নতুন আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা ছিল ১৩৫। তার আগের দু’দিন ছিল ১২৩ এবং ১৪৮। পরের দু’দিনের সংখ্যা ছিল ১৯৪ এবং ২২৯। ১২ থেকে ১৬ জুন, এই পাঁচ দিনের গড় হল ১৬০, যা ১৪ জুনের চলন্ত গড়। ঠিক একই ভাবে ১৫ জুনের চলন্ত গড় হল ১৩ থেকে ১৭ জুনের আক্রান্তের সংখ্যার গড়। পরিসংখ্যানবিদ্যায় দীর্ঘমেয়াদি গতিপথ সহজ ভাবে বোঝার জন্য এবং স্বল্পমেয়াদি বড় বিচ্যুতি এড়াতে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়)