গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
রাজ্যে করোনা সংক্রমণের সাম্প্রতিক স্ফীতি এবং ওমিক্রন নিয়ে উদ্বেগের আবহে দৈনিক মৃত্যু আরও বেড়ে ২৮ হল শুক্রবার। তবে বৃহস্পতিবারের তুলনায় সামান্য কমল দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা। কমল সংক্রমণের হারও। এ দিকে নতুন আক্রান্ত বাড়ল কলকাতায়। মহানগরীতে সংক্রমণের হারও বেড়ে ৪৫ শতাংশ পার করল। আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ল হুগলি ও দক্ষিণ ২৪ পরগনাতেও। বাড়তে বাড়তে হাজারের দোরগোড়ায় বীরভূম ও নদিয়া। মালদহ এবং দার্জিলিঙের পরিস্থিতি আরও উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। বাংলায় সক্রিয় রোগীর সংখ্যা দেড় লক্ষের কাছে পৌঁছে গেল।
শুক্রবার রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ২২ হাজার ৬৪৫ জন। কলকাতায় আক্রান্ত ৬ হাজার ৮৬৭। উত্তর ২৪ পরগনায় ৪ হাজার ১৮ জন। কলকাতা সংলগ্ন হুগলিতে দৈনিক আক্রান্ত সামান্য বাড়লেও কিছুটা কমল হাওড়া ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায়।
বীরভূমে দৈনিক আক্রান্ত আরও বেড়ে হল ৯৮৪। নদিয়ায় ৮১৬। উল্টো দিকে কিছুটা কমে দৈনিক আক্রান্ত হাজারের নীচে নামল পশ্চিম মেদিনীপুরে। এ ছাড়া মুর্শিদাবাদ, পুরুলিয়া, পশ্চিম ও পূর্ব মেদিনীপুর এবং পূর্ব বর্ধমানে কমল নতুন আক্রান্ত।
উত্তরবঙ্গের মালদহ এবং দার্জিলিঙে দৈনিক সংক্রমণ আরও বাড়ল। ওই দুই জেলায় আক্রান্ত হয়েছেন যথাক্রমে ৬৪৮ জন ও ৫৯৬ জন। বাড়ল আলিপুরদুয়ার ও কালিম্পঙে। কমল কোচবিহার, জলপাইগুড়ি ওই দুই দিনাজপুরে।
শেষ ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর কলকাতায় মারা গিয়েছেন ৭ জন আর উত্তর ২৪ পরগনায় ৮ জন। সংক্রমণমুক্ত হয়েছেন ৮ হাজার ৬৮৭ জন। শুক্রবার রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণের হার কমে হল ৩১.১৪ শতাংশ। কিছু জেলায় সংক্রমণের হারে বৃদ্ধি অব্যাহত। কলকাতায় দৈনিক সংক্রমণের হার ৪৫.৯১ শতাংশ। কলকাতা-সহ যে ১০ জেলায় সংক্রমণের হার ৩০ শতাংশের বেশি, তার মধ্যে রয়েছে— বাঁকুড়া (৩৮.৩৪%), বীরভূম (৩৭.৭৬%), দার্জিলিং (৩১.৪৮%), হাওড়া (৩৮.৩৪%), মালদহ (৩৯.২৩%), উত্তর ২৪ পরগনা (৩৯.২৭%), পশ্চিম বর্ধমান (৩৭.১৭%)।
শুক্রবার কোভিড পরীক্ষা হয়েছে ৭২ হাজার ৭২৫ জনের। বাংলায় সক্রিয় রোগীর সংখ্যা আরও বেড়ে হল ১ লক্ষ ৪৫ হাজার ৪৮৩।