গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
বৃহস্পতিবার রাজ্যে দৈনিক আক্রান্ত বেড়ে দেড় হাজারের কাছে পৌঁছে গিয়েছিল। শুক্রবার তা আবার কমল। কিন্তু রয়েছে হাজারের উপরেই। দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা কমার পাশাপাশি সংক্রমণের হারও কমেছে রাজ্যে। আবার তা ১০ শতাংশের নীচে নেমেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ছ’জন কোভিড রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর প্রকাশিত কোভিড বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১২৮৪ জন। এখনও পর্যন্ত কোভিডে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ২০ লক্ষ ৯১ হাজার ৭৬৭ জন। রাজ্যে নতুন করে যত সংক্রমিত হয়েছেন, তার মধ্যে অধিকাংশই কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনার অধিবাসী। কলকাতা সংলগ্ন দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া ও হুগলিতেও সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় ওই তিন জেলার কোভিড পরিস্থিতিও প্রশাসনের নজরে রয়েছে।
চলন্ত গড় কী, এবং কেন এটি ব্যবহার করা হয়, তা লেখার শেষে উল্লেখ করা হয়েছে।
রাজ্যে এখনও পর্যন্ত কোভিডে মৃত্যু হয়েছে ২১ হাজার ৩৫২ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে কোভিড পরীক্ষা হয়েছে ১৪ হাজার ৪৭৮ জনের। দৈনিক সংক্রমণের হার কমে হল ৮.৮৭ শতাংশ। প্রসঙ্গত, যত জন মানুষের করোনা পরীক্ষা করা হল, তাঁদের মধ্যে যত শতাংশের রিপোর্ট পজিটিভ তাকেই পজিটিভিটি রেট বা সংক্রমণের হার বলা হয়। রাজ্যে বর্তমানে কোভিডে আক্রান্তের সংখ্যা কমে ১৮ হাজার ৩।
(চলন্ত গড় বা মুভিং অ্যাভারেজ কী: একটি নির্দিষ্ট দিনে পাঁচ দিনের চলন্ত গড় হল— সেই দিনের সংখ্যা, তার আগের দু’দিনের সংখ্যা এবং তার পরের দু’দিনের সংখ্যার গড়। উদাহরণ হিসেবে— দৈনিক নতুন করোনা সংক্রমণের লেখচিত্রে ১৪ জুনের তথ্য দেখা যেতে পারে। সে দিনের মুভিং অ্যাভারেজ ছিল ১৬০। কিন্তু সে দিন নতুন আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা ছিল ১৩৫। তার আগের দু’দিন ছিল ১২৩ এবং ১৪৮। পরের দু’দিনের সংখ্যা ছিল ১৯৪ এবং ২২৯। ১২ থেকে ১৬ জুন, এই পাঁচ দিনের গড় হল ১৬০, যা ১৪ জুনের চলন্ত গড়। ঠিক একই ভাবে ১৫ জুনের চলন্ত গড় হল ১৩ থেকে ১৭ জুনের আক্রান্তের সংখ্যার গড়। পরিসংখ্যানবিদ্যায় দীর্ঘমেয়াদি গতিপথ সহজ ভাবে বোঝার জন্য এবং স্বল্পমেয়াদি বড় বিচ্যুতি এড়াতে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়)