গ্রাফিক: সনৎ সিংহ
রাজ্যে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা সাতশোর ঘর থেকে নেমে এল দু’শোর ঘরে। বৃহস্পতিবার সাড়ে সাতশোর কাছে পৌঁছে গিয়েছিল দৈনিক সংক্রমণ। শুক্রবার তা কিছুটা কমেছিল। শনিবারও অনেকটা কমে নামল আড়াইশো নীচে। রাজ্যে দৈনিক আক্রান্ত কমলেও উচ্ছ্বসিত হওয়ার কারণ নেই বলেই মনে করছে চিকিৎসক মহল। তাঁদের যুক্তি, দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা কোভিড পরীক্ষার সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত। কিন্তু সংক্রমণের হার ঊর্ধ্বমুখীই আছে। শনিবারও সংক্রমণের হার বেড়েছে রাজ্যে। তাই, প্রশাসনের তরফে বার বার কোভিডবিধি অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। সংক্রমণের সঙ্গে কোভিডে একাধিক মৃত্যুও চিন্তা বাড়াচ্ছে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে দু’জন কোভিড রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর প্রকাশিত কোভিড বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২৩৫ জন। এখনও পর্যন্ত কোভিডে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ২০ লক্ষ ২৪ হাজার ৪৭৯ জন। রাজ্যে নতুন করে যত সংক্রমিত হয়েছেন, তার মধ্যে শুধু কলকাতার অধিবাসী। দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যার নিরিখে পিছিয়ে নেই উত্তর ২৪ পরগনাও। কলকাতা সংলগ্ন দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া ও হুগলির কোভিড পরিস্থিতি প্রশাসনের নজরে রয়েছে।
রাজ্যে এখনও পর্যন্ত কোভিডে মৃত্যু হয়েছে ২১ হাজার ২১৬ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে কোভিড পরীক্ষা হয়েছে ৩ হাজার ২৩২ জনের। দৈনিক সংক্রমণের হার কমে হল ৭.২৭ শতাংশ। রাজ্যে বর্তমানে কোভিডে আক্রান্তের সংখ্যাও বেড়ে ৩ হাজার ৪৯৬।
(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। চলন্ত গড় কী এবং কেন তা লেখার শেষে আলাদা করে বলা হয়েছে।)
(চলন্ত গড় বা মুভিং অ্যাভারেজ কী: একটি নির্দিষ্ট দিনে পাঁচ দিনের চলন্ত গড় হল— সেই দিনের সংখ্যা, তার আগের দু’দিনের সংখ্যা এবং তার পরের দু’দিনের সংখ্যার গড়। উদাহরণ হিসেবে— দৈনিক নতুন করোনা সংক্রমণের লেখচিত্রে ১৪ জুনের তথ্য দেখা যেতে পারে। সে দিনের মুভিং অ্যাভারেজ ছিল ১৬০। কিন্তু সে দিন নতুন আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা ছিল ১৩৫। তার আগের দু’দিন ছিল ১২৩ এবং ১৪৮। পরের দু’দিনের সংখ্যা ছিল ১৯৪ এবং ২২৯। ১২ থেকে ১৬ জুন, এই পাঁচ দিনের গড় হল ১৬০, যা ১৪ জুনের চলন্ত গড়। ঠিক একই ভাবে ১৫ জুনের চলন্ত গড় হল ১৩ থেকে ১৭ জুনের আক্রান্তের সংখ্যার গড়। পরিসংখ্যানবিদ্যায় দীর্ঘমেয়াদি গতিপথ সহজ ভাবে বোঝার জন্য এবং স্বল্পমেয়াদি বড় বিচ্যুতি এড়াতে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়)