গ্রাফিক: সন্দীপন রুইদাস।
রাজ্যে নতুন করে কোভিডে আক্রান্তের সংখ্যা ১৪ দিন পর কমে দাঁড়িয়ে হল ১২ হাজার ১৯৩। যদিও সংক্রমণের মোট হার পৌঁছেছে প্রায় ১১ শতাংশে। যা এখনও পর্য়ন্ত সর্বোচ্চ। তবে এর দৈনিক হার কমে হয়েছে ২২.০৪ শতাংশ। তবে কোভিডে মৃত্যুর মোট সংখ্যা ১৫ হাজারের গণ্ডি ছাড়িয়ে গিয়েছে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত মোট ১৫ হাজার ১২০ জনের কোভিডে মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় ৪৩ জন মারা গিয়েছেন। ওই সময়ের মধ্যে কলকাতায় ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ১২ এবং হাওড়াতে ১১ জন সংক্রমিত মারা গিয়েছেন। দার্জিলিং এবং হুগলিতে ৭ জন করে রোগীর মৃত্যু হয়েছে। অন্য দিকে, উত্তর দিনাজপুর এবং মুর্শিদাবাদে ৬ জন করে আক্রান্ত কোভিডের শিকার হয়েছেন। বীরভূমে ৫, জলপাইগুড়িতে ৪, কোচবিহারে ৩, দক্ষিণ দিনাজপুর, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং পশ্চিম বর্ধমানে ২ জন করে সংক্রমিত মারা গিয়েছেন। এ ছাড়া, নদিয়াতে ১ জন আক্রান্তের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে।
রাজ্য জুড়ে কার্যত লকডাউন চলতে থাকায় ক্রমশ নতুন আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ নিম্নমুখী হতে শুরু করেছে। শুক্রবার স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, গত ১৪ মে রাজ্যে এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি নতুন আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল। ওই দিনের বুলেটিন অনুযায়ী, তার আগের ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে মোট ২০ হাজার ৮৪৬ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছিলেন। তবে অনেকের মতে, রাজ্য জুড়ে বিধিনিষেধের জেরে ফের গত কয়েক দিন ধরে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা কমতে শুরু করেছে। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মোট ১৩ লক্ষ ৪৩ হাজার ৪৪২ জন কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ১২ লক্ষ ১৮ হাজার ৫১৬ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
সংক্রমণের মোকাবিলায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা ছাড়াও কোভিড টেস্ট এবং টিকাকরণের হাতিয়ারকেই কাজে লাগানো উচিত বলে মনে করছেন চিকিৎসকেরা। স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে,গত ২৪ ঘণ্টায় মোট ১ লক্ষ ৭৪ হাজার ৮৬ জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে, কোভিড টেস্ট হয়েছে ৫৯ হাজার ১৮৮টি। তবে দৈনিক সংক্রমণ কমলেও এর মোট হার বেড়ে হয়েছে ১০.৯৮ শতাংশে।
দৈনিক সংক্রমণ কমলেও গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন আক্রান্তের সংখ্যা নেহাত কম নয়। স্বাস্থ্য দফতরের হিসাব অনুযায়ী, ওই সময়ের মধ্যে উত্তর ২৪ পরগনায় এবং কলকাতায় নতুন আক্রান্ত যথাক্রমে ২ হাজার ৫২৫ ও ১ হাজার ৮৫৭। এ ছাড়া, দক্ষিণ ২৪ পরগনা (৯৫৭), হাওড়া (৭৫৩), পশ্চিম মেদিনীপুর (৬৫৯), দার্জিলিং (৬৩০), জলপাইগুড়ি (৬২৩), হুগলি (৫৮৩), পশ্চিম বর্ধমান (৫৮০), নদিয়া (৫৩১) জেলায় ৫০০ বা তার বেশি নতুন আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর।