গ্রাফিক: সন্দীপন রুইদাস।
রাজ্যে সামান্য বাড়ল করোনার দৈনিক সংক্রমণ। তবে দু’হাজারের নীচেই রয়েছে সংখ্যাটা। বুধবার সন্ধ্যায় প্রকাশিত রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৯২৫ জন। ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল ১৪ লক্ষ ৮৭ হাজার ৩৬৩ জন।
দৈনিক সংক্রমণ কমলেও, সক্রিয় রোগীর সংখ্যা কিন্তু ২২ হাজারের নীচে নামছে নামছে না। স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী, সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ২২ হাজার ৩৭৮। তবে সংক্রমণের হার বা পজিটিভিটি রেট ৪-এর নীচে নেমে গিয়েছিল মঙ্গলবারই। ওই দিন সংক্রমণের হার ছিল ৩.৬৭। বুধবার তা আরও নেমে দাঁড়িয়েছে ৩.৩৩ শতাংশে। প্রতি দিন যত সংখ্যক মানুষের কোভিড টেস্ট হয় এবং তার মধ্যে যত শতাংশের রিপোর্ট পজিটিভ আসে, তাকে ‘পজিটিভিটি রেট’ বা সংক্রমণের হার বলা হয়।
দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যাও অনেকটা নেমেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৩৮ জনের। মঙ্গলবার এই সংখ্যটা ছিল ৪৭। ফলে রাজ্যে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ১৭ হাজার ৪৭৫।
সুস্থতার হারও একটু একটু করে বাড়ছে। তবে দৈনিক সুস্থের সংখ্যা মঙ্গলবারের তুলনায় সামান্য কমেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ১৭ জন। মঙ্গলবার এই সংখ্যাটা ছিল ২ হাজার ৩৭। গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৫ হাজার ৫৮৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ নিয়ে মোট ১ কোটি ৩৮ লক্ষ ৩৯ হাজার ৪৫৫ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় টিকা দেওয়া হয়েছে ৩ লক্ষ ৮ হাজার ৪৫৩ জনকে। বুধবার পর্যন্ত রাজ্যে মোট টিকাকরণ হয়েছে ১ কোটি ৯৬ লক্ষ ৩৬ হাজার ৬৬৬ জনের।
উল্লেখযোগ্য ভাবে উত্তর ২৪ পরগনার দৈনিক সংক্রমণও কমতে শুরু করেছে। একই ছবি কলকাতারও। এক লাফে এনেকটাই নেমেছে এই দুই জেলার দৈনিক সংক্রমণ। এই দুই জেলার পরিস্থিতি খুবই উদ্বেগজনক জায়গায় পৌঁছেছিল। গত ২৪ ঘণ্টায় উত্তর ২৪ পরগনা এবং কলকাতায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন যথাক্রমে ২১৬ এবং ১৭৮ জন। উত্তর ২৪ পরগনায় মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের এবং কলকাতায় গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গিয়েছেন ৭ জন।