ঝড়বৃষ্টির মধ্যে বৃদ্ধার দেহ দীর্ঘক্ষণ ধরে তাঁর বাড়ির উঠোনে পড়ে থাকে। —নিজস্ব চিত্র।
ফের কোভিড রোগীর মৃত্যুর পর দীর্ঘক্ষণ ধরে বাড়িতেই পড়ে রইল এক বৃদ্ধার দেহ। এ বার উত্তর ২৪ পরগনা জেলার হাবড়ায়। অভিযোগ, কোভিডে আক্রান্ত এক বৃদ্ধার মৃত্যুর প্রায় ১৩ ঘণ্টা পার হয়ে গেলেও দেহ সৎকারের জন্য এগিয়ে এল না প্রশাসন। খবর পেয়ে রবিবার রাতে প্রশাসনের উদ্যোগে দেহ সৎকারের বন্দোবস্ত করা হয়। মৃতার পরিবারের সদস্যরাই পিপিই কিট পরে পুরসভার গাড়িতে দেহ তুলে তা সৎকারের জন্য শ্মশানের দিকে রওনা হন।
হাবড়া থানার অন্তর্গত বেলের মাঠ এলাকার বাসিন্দা ষাটোর্ধ্ব আশালতা মণ্ডলের মৃত্যু হয় রবিবার সকাল ৭টা নাগাদ। স্থানীয় সূত্রে খবর, তাঁর পরিবারের পুরুষ সদস্যরা কর্মসূত্রে ভিন্ রাজ্যে থাকেন। প্রায় ৭ দিন ধরে জ্বর থাকায় গত ৬ এপ্রিল আশালতার কোভিড পরীক্ষা করা হয়। সেই রিপোর্টে জানা যায়, বৃদ্ধা কোভিড পজিটিভ। তার পর থেকে বাড়িতেই চিকিৎসা চলছিল তাঁর। রবিবার সকালে বৃদ্ধার মৃত্যুর পর স্থানীয়রা প্রশাসনের দ্বারস্থ হন। অভিযোগ, দেহ সৎকারের জন্য প্রশাসনকে বার বার বলা হলেও কোনও সাহায্য পাননি তাঁরা। ঝড়বৃষ্টির মধ্যে বৃদ্ধার দেহ দীর্ঘক্ষণ ধরে তাঁর বাড়ির উঠোনে পড়ে থাকে। এর পর স্থানীয় প্রশাসনের তরফে বৃদ্ধার বাড়িতে ২টি পিপিই কিট দেওয়া হয়। অবশেষে বৃদ্ধার মৃত্যুর প্রায় ১৩ ঘণ্টা পর পুরসভা থেকে সৎকারের জন্য গাড়ি পাঠানো হয়। বৃদ্ধার বাড়ির দু’জন মহিলা সদস্য পিসিই কিট পরে দেহ গাড়িতে তোলেন বলে দাবি।
ওই বৃদ্ধার দেহ দীর্ঘক্ষণ তাঁর বাড়িতে পড়ে থাকলেও এ নিয়ে কার্যত নির্লিপ্ত হাবড়া পুরসভা। পুরসভার মুখ্য পুরপ্রশাসক নিলিমেশ দাস বলেন, “বৃদ্ধার দেহ সৎকারের জন্য ব্লক থেকে আমাদের খবর দেওয়া হলে তার বন্দোবস্ত করা হয়েছে।”